বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক ডা. মবিন খান, ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক ডা. মবিন খান, ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তাই শেষবারের মতো কফিনে মুড়িয়ে বিএসএমএমইউয়ে আনা হয়েছিল ডা. মবিন খানকে। জানাজা শেষে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিএসএমএমইউ’র কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ডা. মবিন খানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অশ্রুসিক্ত চোখে প্রখ্যাত এই চিকিৎসকের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কামনা করা হয়।
জানাজাপূর্বক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নুরুদ্দীন আহমেদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. মবিন খান লিভার বিষয়ে শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা চিরদিন স্মরণে রাখবে। তিনি সৎ জীবনের অধিকারী ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। রোগীদের সাথে সব সময়ই তিনি অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি মানুষের সমালোচনা পছন্দ করতেন না। জ্ঞান সাধনায় তিনি ছিলেন অতুলনীয় ও প্রচণ্ড পরিশ্রমী।
জানাজায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ডিন অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
জানা গেছে, বাংলাদেশের ফাদার অব হেপাটোলজি খ্যাত অধ্যাপক ডা. মবিন খানকে কুমিল্লার কালীর বাজার এলাকার আনন্দপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. মবিন খান। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দেশের প্রখ্যাত এই চিকিৎসকের জন্ম ১৯৪৯ সালে। তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লিভার রোগ গবেষণায় তার অসামান্য অবদান রয়েছে।
টিআই/এমজে