রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে ডুবে জুবায়ের হাসান (১২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ ৩৮ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে ডুবে জুবায়ের হাসান (১২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ ৩৮ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান মণ্ডল।
নিখোঁজ জুবায়ের রাজবাড়ী সদর উপজেলার কুটিরহাট এলাকার লাবলু শেখের ছেলে। সে দৌলতদিয়ার আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়া সাবিইল হাসান দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় জুবায়ের। এদিন দেড় ঘণ্টা ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালান ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। পরে আজ (শুক্রবার) সকাল ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের গত বুধবার বিকালে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নদীর পাড়ে খেলতে যায়। খেলা শেষে সবাই নদীতে গোসল করতে নামে। তাদের সঙ্গে সেও নামে। পরে সবাই উঠে এলেও জুবায়ের নদী থেকে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। সে সময় তার সহপাঠীরা তার হাত টেনে ধরে। কিন্তু নদীতে স্রোত থাকায় তাকে ওপরে ওঠানো সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে তার সহপাঠীরা তার হাত ছেড়ে দিলে সে নদীতে ডুবে যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছি। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তার মরদেহটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এফআরএস