পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছে অর্ধশতাধিক মাটির হাঁড়ি বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার এ উদ্যোগ নেয়।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান নেতৃত্বে পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, মনসুর হেলাল, সাজ্জাদ হোসেন, জাহিদ হাসান, রাকিব হোসেন, শহীদ ইসলাম ও শামীম-শাহীন বিজ্ঞান একাডেমীর শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সদস্য জাহিদ হাসান বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের অপরিহার্য অংশ, তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যর একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান বলেন, আমরা বইপাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের সুরক্ষায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ করে থাকি। এ ছাড়াও পাখিদের জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ঝড়-বৃষ্টি, শীত থেকে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজননে পাখিদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এসব মাটির হাঁড়ি। আমাদের এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। আশা করি আমাদের এ উদ্যোগ অন্যান্য পাখিপ্রেমিদের উৎসাহিত করবে।
উল্লেখ্য “এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি” স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বিগত ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এনএফ