ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সংকট নিরসনে বাঙ্ক বেড সিস্টেম চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের বিভিন্ন কক্ষে ‘বাঙ্ক বেড’ স্থাপন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সংকট নিরসনে বাঙ্ক বেড সিস্টেম চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের বিভিন্ন কক্ষে ‘বাঙ্ক বেড’ স্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ‘বাঙ্ক বেড’ স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনসহ হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েদের ৫টি হলে ১৫০-২০০ এর মতো বাঙ্ক বেড স্থাপন করা হবে। বেডগুলো দুই তলা বিশিষ্ট। নিচের বেডে দুজন এবং উপরের বেডে ১ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন। প্রথম ধাপে ১২টি বেড মৈত্রী হলে স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাকি বেডগুলো স্থাপন করা হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমস্য আবাসন সংকট। সে সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো নতুন হল নির্মাণ। তবে সেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সাময়িকভাবে দূর করতে তাদের সাপোর্ট দিতে বাঙ্ক বেড স্থাপন করছি। আমরা বলছি এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। তবুও সাময়িকভাবে তাদের আবাসন নিশ্চিত করতে মেয়েদের হলগুলোতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আপাতত আমরা মৈত্রী হলে ১২টি বেড স্থাপন করেছি। বাকি বেডগুলো বানানো হচ্ছে। আমরা বলেছি অল্প কিছু বানানো হলেই যেনো সেগুলো যেন হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েদের ৫ হলে ১৫০-২০০ এর মতো বেড স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেএইচ/এমটিআই