ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে ১০২ জন রোহিঙ্গা যাত্রীবাহী একটি নৌকা ভিড়েছে এবং উপকূলে ভেড়ার পর তাদের মধ্যে থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে নৌকাটি আচেহ প্রদেশের উপকূলে নোঙ্গর করে।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে ১০২ জন রোহিঙ্গা যাত্রীবাহী একটি নৌকা ভিড়েছে এবং উপকূলে ভেড়ার পর তাদের মধ্যে থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে নৌকাটি আচেহ প্রদেশের উপকূলে নোঙ্গর করে।
আচেহের যে এলাকায় নৌকাটি ভিড়েছে, সেখানকার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিফতাহ তিজুত আদেক সাংবাদিকদের বলেন, “আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপকূলের কাছাকাছি নৌকাটিকে ভাসতে দেখে স্থানীয় মৎসজীবীরা। তারপর তারা সেটিকে উপকূলের দিকে নিয়ে আসে। নৌকাটি থেকে ৯৬ জন যাত্রীকে জীবিত এবং ৬ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ৭ জন শিশুও রয়েছে।”
সাংবাদিকদের মিফতাহ আরও জানান যে এই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তারা এখনও সাগরতীরেই আছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ এবং উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের উপকূলে এসে নেমেছিলেন প্রায় ৩০০ জন রোহিঙ্গা। সে সময় জাতিসংঘের শরণার্থী সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা। দেশটির সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের কারণে গত বেশ কয়েক বছর ধরে তারা মিয়ানমার ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এখনও বাংলাদেশের টেকনাফ জেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আছেন তারা। ইউএনএইচসিআর থেকে তাদের অর্থ ও খাদ্য সহায়াতা দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গাদের প্রিয় গন্তব্য মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন উপকূলে পৌঁছেছেন ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশ্রয়প্রার্থী এই রোহিঙ্গাদের জন্য দেশটির সরকারকে তহবিল দিচ্ছে ইউএনএইচসিআর।