১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ল বাংলাদেশ

১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ল বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময়ে বোলাররা উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি। হাসান মাহমুদ-মেহেদি মিরাজদের বিপক্ষে ‘ওয়ানডে স্টাইলে’ ব্যাটিং করেছে প্রোটিয়ারা। অথচ একই উইকেটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার। এক মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউই নূন্যতম প্রতিরোধও করতে পারেননি।

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময়ে বোলাররা উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি। হাসান মাহমুদ-মেহেদি মিরাজদের বিপক্ষে ‘ওয়ানডে স্টাইলে’ ব্যাটিং করেছে প্রোটিয়ারা। অথচ একই উইকেটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার। এক মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউই নূন্যতম প্রতিরোধও করতে পারেননি।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেছে বাংলাদেশ। ৪১৬ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামছে বাংলাদেশ।

৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিল স্বাগতিকরা, আজ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে। দিন বদলালেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে বদল আসেনি। আজ আর ১০ রান যোগ করতেই আরো চার ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সবমিলিয়ে দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ৮ ব্যাটার।

গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আজ দিনের শুরু করেন। ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা বাংলাদেশ ব্যাটার সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। কাগিসো রাবাদার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনি ফিরেছেন ৯ রানে।

অভিজ্ঞ মুশফিক উইকেটে এলেন আর গেলেন। মাঝে টিকতে পেরেছেন কেবল ২ বল। ড্যান প্যাটেরসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মুশফিক ডাক খেয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনফর্ম এই ব্যাটার ৩ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি।

মিরাজ ফেরার এক বল পরই মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফিরিয়েছেন রাবাদা। অভিষেক ইনিংসে সিলভার ডাক খেয়েছেন তিনি। তাতে ৪ উইকেটে ৪৬ থেকে ২ রান যোগ করতেই আরো ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অঙ্কনকে আউট করে ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাবাদা।

৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করেন মুমিনুল ও তাইজুল। দুজনে মিলে নবম উইকেট জুটিতে ১০৩ রান যোগ করেছেন তারা। মুমিনুল ৭৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন। এগোচ্ছিলেন শতকের পথে। তবে কাটা পড়েন ৮২ রান করে।

এরপর তাইজুলও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৫ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে ফলোঅন এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *