ফেনীর
ফেনীর সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতার ওপর হামলায় ঘটনায় করা মামলার জেরে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ছাত্রদলের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার তাকিয়া রোড সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সোনাগাজী পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রিংকু, ছাত্রদল নেতা আসিফুল ইসলাম, কামরুল হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইব্রাহিম, আবুল কালাম, নুর করিম, রাহাতুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, আবুল কাসেম, নূর নবী, এনায়েত হোসেন, ওমর হাছান, রহমত উল্লাহ শাহীন, রফিক, জসিম উদ্দিন, জিহাদ রুবেল, সম্রাট, মতিউর রহমান মাসুম, মারুফ, সাজ্জাদ, সালাউদ্দিন, সজিব, শাহরিয়ার ইসলাম, সজিব হোসেন, পারভেজ, বাবর, মাসুদ, জিসান, রামিম ও সবুজসহ অন্তত ৩৫ জন।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজ ও রায়হানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে মিরাজের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসসহ সাত জনকে আসামি করা হয়। মিরাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী জিরো পয়েন্ট এলাকায় সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞা উপজেলা বিএনপিসহ ছাত্রদলের ও যুবদলের একাংশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে আশ্রয় দিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলে বাড়ি থেকে ধরে এনে উলঙ্গ করে পেটানো হবে। তার এই বক্তব্যের পরপর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
আজ বিকেলের দিকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসকে আসামি করার প্রতিবাদে সদস্য সচিব সোহাগ নূরের নেতৃত্বে মিছিল বের করে ছাত্রদলের একটি অংশ। মিছিলটি সোনাগাজী পশ্চিম বাজারের তাকিয়া রোডের সামনে এলে ছাত্রদলের অপর একটি অংশ তাদের উপর হামলা করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহাগ নূর বলেন, মিরাজের ওপর হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে আমাদের দলীয় কিছু লোক ছাত্রদলকে জড়িয়ে অপ্রচার করছে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। মিরাজের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়িত রয়েছে।
হামলায় যুবদলের নেতাকর্মীদের জড়িতের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খুরশিদ আলম বলেন, ঘটনাটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে সমাধান করা হবে। যুবদলের সাথে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
তারেক চৌধুরী/এমটিআই