ভূত চতুর্দশীর সকালে বাজারে গিয়ে ১৪ রকমের শাক কিনতেই হয়। এটা ওপার বাংলার বাঙালিদের চিরাচরিত প্রথা। দুপুরে ভাতের প্লেটে চৌদ্দ রকমের শাক আর রাতে ১৪ বাতি। যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে।
ভূত চতুর্দশীর সকালে বাজারে গিয়ে ১৪ রকমের শাক কিনতেই হয়। এটা ওপার বাংলার বাঙালিদের চিরাচরিত প্রথা। দুপুরে ভাতের প্লেটে চৌদ্দ রকমের শাক আর রাতে ১৪ বাতি। যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে।
আর সেই রীতি পালন করতে গিয়েই কালীপূজার আগের দিন সাতসকালে বাজারে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেয়ে শাক খোঁজার জোগাড় হয় সকলের। ঝক্কিও কম নয়! কারণ সময়মতো না পৌঁছালেই বাজারের সব শাক শেষ।
তবে এসব ধকল যেন না পোহাতে হয়, সেটা মাথায় রেখেই টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী দারুণ বুদ্ধি প্রয়োগ করেছেন।
নিজের অ্যাপার্টমেন্টের ছোট্ট ব্যালকনিতেই টবে চাষ করে ফেলেছেন বিভিন্ন রকমের শাক। পালং, মেথি শাক থেকে শুরু করে আরও নানা রকমের শাক রয়েছে মিমির কিচেন গার্ডেনে।
বুধবার ভূত চতুর্দশীর দিন নিজের ব্যালকনিতে চাষ করা সেসব রকমারি শাক দিয়েই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালন করছেন অভিনেত্রী। শাক তোলার ভিডিও শেয়ার করে নিজেই লিখেছেন- ‘নিজের লাগানো ১৪ শাক নিয়ে মাতামাতি।’
কিচেন গার্ডেন থেকে অভিনেত্রীর শেয়ার করা ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরাও। তারাও মজার মজার বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
মিমি চক্রবর্তী বরাবরই পরিবেশপ্রেমী। শুট বা ব্যস্ত শিডিউলের অবসরে নিজের দুই পোষ্য, ব্যালকনির বাগান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সেখানে রকমারি ফুল-ফলের চাষ করেন ছোট্ট পরিসরে। যত্নও করেন সেরকম।
কখনও কোভিডকালে আবাসনে তারই হাতে রোপণ করা জামরুল গাছ থেকে ফল পাড়ার ভিডিও শেয়ার করেছেন। আবার কখনও বা নিজের জলপাইগুড়ির বাড়ির বাগান থেকে কুল পাড়ার ভিডিও শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
এবার ব্যালকনিতে চাষ করা ১৪ শাক দিয়ে ভূত চতুর্দশীর রীতি পালন করার ভিডিও শেয়ার করে আহ্লাদে আটখানা হলেন অভিনেত্রী।
এনএইচ