শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতার ৫ দিনের রিমান্ড

শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতার ৫ দিনের রিমান্ড

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাব্বির হোসেন রাসেল হত্যায় তিন দিন ও সাদ আল আফনান হত্যায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাব্বির হোসেন রাসেল হত্যায় তিন দিন ও সাদ আল আফনান হত্যায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ আদেশ দেন।

বিকেলে সাব্বির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত কবির পাটওয়ারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, কবির পাটওয়ারী ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পরে তাকে শিক্ষার্থী আফনান হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ছাড়া পুলিশের দায়িত্বে বাধা ও হামলার ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কবির পাটওয়ারী।

গত ২০ আগস্ট ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সাব্বির ও আফনান হত্যা মামলায় কবির পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। এতে আদালত সাব্বির হত্যা মামলায় তিন দিন ও আফনান হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এসব মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা-গুলি চালায়। এতে সাব্বির ও আফনানসহ চারজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

একই দিন সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *