বার্নাব্যুতে ইয়ামালের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ, রিয়ালের প্রতিবাদ

বার্নাব্যুতে ইয়ামালের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ, রিয়ালের প্রতিবাদ

একের পর এক বল ঢুকেছে প্রিয় ক্লাবের জালে। সেটাও ঘরের মাঠে, নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে। এল-ক্লাসিকোর রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের দর্শকরা। আর ক্ষেপে গিয়েই কি না বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ করেছেন স্বাগতিক সমর্থকরা। 

একের পর এক বল ঢুকেছে প্রিয় ক্লাবের জালে। সেটাও ঘরের মাঠে, নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে। এল-ক্লাসিকোর রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের দর্শকরা। আর ক্ষেপে গিয়েই কি না বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ করেছেন স্বাগতিক সমর্থকরা। 

মর্যাদাপূর্ণ এল ক্লাসিকোর লড়াইয়ে শনিবার রাতে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচটি ৪-০ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল। এমন হারের পর প্রতিপক্ষ ফুটবলারের সঙ্গে হওয়া জাতিগত বিদ্বেষমূলক আচরণের প্রতিবাদ করেছে ক্লাবটি। বার্সেলোনার হয়ে দলীয় তৃতীয় গোলের পর বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন এই স্প্যানিশ। 

বার্সার হয়ে তৃতীয় গোল করেছিলেন লামিন ইয়ামাল। গোলের পরপর উদযাপন করতে গ্যালারির এক প্রান্তের দিকে ছুটে যান বার্সা তারকা। এসময় দর্শকদের লক্ষ্য করে হাত দিয়ে নিজের জার্সি নাম্বারের দিকে ইঙ্গিত করেন এই ফুটবলার। 

স্প্যানিশ তরুণের এমন উদযাপন মেনে নিতে পারেননি একদল দর্শক। গ্যালারিতে বসেই বার্সা তারকাকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেন তারা। ইয়ামালের সঙ্গে দর্শকদের এমন আচরণ সামনে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে। সেটা নজরে আসা মাত্রই এই বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। 

এক বিবৃতিতে ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলে কঠোরভাবে বর্ণবাদী যেকোনো আচরণ, জেনোফোবিয়া বা সহিংসতার বিপক্ষে। বার্নাব্যুর এক কোণায় কিছু সমর্থকের এ ধরনের আচরণে গভীরভাবে অনুতপ্ত।’ একইসঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে রিয়াল জানায়, ‘রিয়াল মাদ্রিদ এ জঘন্য এবং ঘৃণ্য অপমানের জন্য অপরাধীদের শনাক্ত ও চিহ্নিত করার জন্য একটি তদন্ত শুরু করেছে। এ তদন্তে উপযুক্ত শাস্তিমূলক এবং বিচারিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিদ্বেষমূলক এই ঘটনার জন্য নিন্দা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে লা-লিগা কর্তৃপক্ষও। স্পেনের শীর্ষস্তরের লিগটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লা লিগায় এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের কোনো জায়গা নেই। বিষয়টি ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।  

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *