কাব স্কাউটসের সনদে শেখ হাসিনার সই, ডিসি বললেন ‘মিসটেক’

কাব স্কাউটসের সনদে শেখ হাসিনার সই, ডিসি বললেন ‘মিসটেক’

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় কাব (শিশু স্কাউট) হলিডে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা সনদ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে জেলা প্রশাসন। তবে জেলা স্কাউটসের সভাপতি ও প্রশাসক রকিব হায়দার বলছেন, এটি একটি ‘মিসটেক’ হয়েছে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় কাব (শিশু স্কাউট) হলিডে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা সনদ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে জেলা প্রশাসন। তবে জেলা স্কাউটসের সভাপতি ও প্রশাসক রকিব হায়দার বলছেন, এটি একটি ‘মিসটেক’ হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনভর অনুষ্ঠান শেষে জেলা স্কাউটসের সভাপতি ও প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এসব সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

এ সময় জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা খাতুন, উপজেলা স্কাউটসের সভাপতি ও ইউএনও নূর-ই-ইলাহী, ওসি আলী আকবরসহ জেলা ও উপজেলা স্কাউটসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাব স্কাউটস দল অংশ নেয়। এ সময় জেলা স্কাউটসের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন খেলাধুলা, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও মানবিক শিক্ষা দেওয়া হয়। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তবে ডিসি দাবি করেন, মাত্র তিন থেকে চারটি বিতরণ করা হয়েছিল। পরে সনদ ও ক্রেস্টগুলো ফেরত নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক ওবায়দুর রহমান সনদে থাকা সাবেক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আদিতমারী উপজেলা স্কাউটস আজ (শনিবার) যাদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়েছে, সেই সার্টিফিকেট ফ্যাসিবাদ আমলের। সইটি দেখবেন। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্কাউটসের সভাপতি ও ইউএনও নূর-ই-ইলাহী বলেন, বিষয়টি লক্ষ্য করেছি, পরবর্তীতে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিয়েছি। সনদগুলো ২০১৬, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের। পদাধিকারবলে এই সনদগুলোতে তখনকার প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। সনদগুলো ফেরত নিতে মৌখিক নির্দেশ এসেছে। আমরা সনদ ফেরত নেবো।

জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত সনদ তাৎক্ষণিকভাবে খেয়াল করা হয়নি। সনদগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের পরে আমরা বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে লিখবো। তারপর যে সিদ্ধান্ত আসবে তা-ই করা হবে। যেটি হয়েছে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি মিসটেক হয়েছে।’

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *