বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়েছে। তাই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে এনে বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শত সহস্র মায়ের বুক খালি করায় শেখ হাসিনার যথোপযুক্ত বিচার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি এই বিচার কার্যকরে কোনো নমনীয়তা, দুর্বলতা প্রকাশ করে তাহলে বাংলাদেশের মানুষের আদালতে দাঁড়িয়ে তাদেরকেও জবাবদিহি করতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়েছে। তাই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে এনে বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শত সহস্র মায়ের বুক খালি করায় শেখ হাসিনার যথোপযুক্ত বিচার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি এই বিচার কার্যকরে কোনো নমনীয়তা, দুর্বলতা প্রকাশ করে তাহলে বাংলাদেশের মানুষের আদালতে দাঁড়িয়ে তাদেরকেও জবাবদিহি করতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার মতো ভীরু কোনো নেতা পৃথিবীতে নেই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে একবার গৌর গোবিন্দ পালিয়েছিল। হাজার বছর পর আরেকবার শেখ হাসিনা পালাল। আর কোনো নেতা এভাবে দেশ ছেড়ে, দল ছেড়ে পালান নাই। শেখ হাসিনা এসেছিলেন এ দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য। শেখ হাসিনা এমনভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন, কোনো নেতার কথাও ভাবে নাই। ভেবেছে শুধু পরিবারের কথা। তার মতো ভীরু কোনো নেতা পৃথিবীতে নেই।
তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবী জানে শেখ হাসিনা ভারত সরকারের আশ্রয়ে রয়েছে। ভারত সরকার যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বিশ্বাস করে তাহলে একজন খুনি, পলাতক আসামিকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়াই হবে একমাত্র কাজ।
মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদকে কোনোভাবে আর বাংলাদেশে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে তারা প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তার রাজনীতি ছিল সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি। আমরা বলতে চাই- শুধু ছাত্রলীগ নয়, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই একটি বৈষম্যবিহীন, ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে। এ জন্য প্রয়োজন আল্লাহ প্রদত্ত রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। সে বন্দোবস্ত হলো খেলাফত ব্যবস্থা। আমরা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করে আমাদের যাত্রা থামিয়ে দিতে চাই না৷ আমরা চাই পূর্ণাঙ্গ খেলাফত কায়েমের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ইনসাফপূর্ণ সমাজ গড়তে। অতি শিগগিরই সকল রাজনৈতিক দল নিয়ে বর্তমান সরকারের সাথে আলোচনা করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণকে উপহার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নোয়াখালী উত্তরের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইউছুফ আল-মাদানীর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আলহাজ মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিসের নোয়াখালীর সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন হাক্কী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের নোয়াখালীর সভাপতি মাওলানা খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের নোয়াখালীর সভাপতি মুহা. আবদুর রহমান জিহাদী প্রমুখ।
এ সময় নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম মামুন, নোয়াখালী জেলা উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলামসহ হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর