ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল নাগাদ কমে যায় বৃষ্টি। 

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল নাগাদ কমে যায় বৃষ্টি। 

তবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপকূলীয় এই চার উপজেলায় গুমোট আবহাওয়ায় বিরাজ করতে দেখা গেছে। যেকোনো সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর ফলে মোংলাসহ সব সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে এখন নিজস্ব ১ নম্বর এলার্ট চলছে, তিন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে জেলা প্রশাসক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা দানা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় ৮০০ টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।

আবু তালেব/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *