ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণণে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস।
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণণে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাজুসের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে।
১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ফোরসি তথা (কালার, ক্লিয়ারিটি, ক্যারেট ও কার্ট) মানতে হবে।
২. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে শুধু ন্যাচারাল ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করতে পারবে।
৩. প্রাকৃতিক ডায়মন্ডের নামে আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড বিক্রি করা যাবে না।
৪. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান: কালার- আইজে, ক্ল্যারিটি-এসআই থাকতে হবে।
৫. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের সময় বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।
৬. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে ১৮ ক্যারেটের নিচে সোনা ব্যবহার করা যাবে না।
৭. আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট দিয়ে যারা ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করবে না তাদের বিরুদ্ধে বাজুস সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৮. ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে (ভ্যাট বাদে মোট মূল্যের ওপর)।
৯. ডায়মন্ডের অলংকারের ক্ষেত্রে যদি সোনার ক্যারেট, ওজন ও সেন্ট’র গরমিল পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি সরকারি সংস্থা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে বাজুস কোনো দায় দায়িত্ব নেবে না।
১০. ডায়মন্ড জুয়েলারির প্রতিটা পণ্যের ট্যাগে বাধ্যতামূলক বিক্রয় মূল্য থাকতে হবে।
১১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো পণ্য সামগ্রী ফ্রি দেওয়া যাবে না।
১২. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫% ডিসকাউন্ট প্রদান করা যাবে। যদি কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তাহলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩. বাজুসের তত্ত্বাবধানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স যেকোনো সময় যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ডায়মন্ডের অলংকারের মান, ওজন যাচাই বাছাই করতে পারবে।
১৪. সর্বোপরি বাজুসের নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
এই অবস্থায় ব্যাবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে উল্লেখিত বিধি বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে ব্যবসাকার্য পরিচালনা করতে বলেছে বাজুস।
এসআই/এমএ