দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে চালু হলো কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে চালু হলো কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন 

দেশের বাজারে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। খুলনা-ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

দেশের বাজারে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। খুলনা-ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনটি খুলনা রেলস্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এটি যশোরসহ বিভিন্ন স্টেশন হয়ে মালামাল নিয়ে ঢাকা তেজগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছাবে আজ রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে।

খুলনা-ঢাকা রুটে ট্রেনটির প্রথম যাত্রার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিম) চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনে কৃষিপণ্য স্পেশাল নামে একটি নতুন ট্রেন চালু করেছে। এই ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মালামাল অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে পরিবহন করা যাবে। এই স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে মাছ, মাংসসহ পচনশীল পণ্য পরিবহণ করা যাবে।

কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনে প্রতি কেজি কৃষিপণ্যে ভাড়া খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৪৭ পয়সা, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৩৫ পয়সা, চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৩০ পয়সা, ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ০৮ পয়সা, পার্বতীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৩৪ পয়সা, জয়পুরহাট থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৩০ পয়সা, সান্তাহার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ১৯ পয়সা, রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ১৮ পয়সা, রহনপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১ টাকা ৩০ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্রেনটি তিন দিন ৩টি রুটে চলাচল করবে। সূচী অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে যাত্রা করে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা তেজগাঁও পৌঁছাবে। আর প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে যাত্রা করে ১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে। প্রতি শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে রহনপুর স্টেশন থেকে যাত্রা করে ঢাকা পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে।

খুলনা-ঢাকা রুটে খুলনা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যশোর, যশোর ক্যান্টনমেন্ট, বারোবাজার, কোটছাদপুর, সাফদারপুর, আনসারবাড়িয়া, উথলী, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদাহ, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী, জয়দেবপুর, বিমানবন্ধর ও ঢাকা তেজগাঁও ট্রেনটি থামবে।

আর বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে পাবর্তীপুর, বিরামপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট, জামালগঞ্জ, আক্কেলপুর, সান্তাহার, আহসানগঞ্জ, মাধনগর, নাটোর, চাটমোহর, লাহোড়ীমোহনপুর, উল্লাপাড়া, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও থামবে।

এছাড়া রহনপুর-ঢাকা রুটে নাচোল, আমনূরা জয়, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহরোড, আগানি, আব্দুলপুর, আজিমনগর, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়াল ব্রিজ ও জয়দেবপুর স্টেশনে থামবে। এসব রুট থেকে নিয়মিত কৃষিপণ্য ঢাকায় আনা হলে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষি পণ্যের দাম কমবে বলে মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিম) চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, দেশের কৃষিপণ্যের উর্ধ্বগতি রয়েছে। পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সবজি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা এবং দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের জন্যই এই স্পেশাল ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে সূলভ মূল্য পণ্য ঢাকায় নিতে পারে ও ন্যায্যমূল্য পায় এবং তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনকারীরাও যেন ন্যায্যমূল্য পায় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এটি চালু করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *