বিসিবির সঙ্গে কবে বসবে সার্চ কমিটি?

বিসিবির সঙ্গে কবে বসবে সার্চ কমিটি?

ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২৯ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি বিভিন্ন ফেডারেশনের কার্যক্রম, গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। দুই মাস মেয়াদী এই কমিটি ইতোমধ্যে ৪০ টির বেশি ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেছে। এই সপ্তাহের শেষের দিন সভা রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সঙ্গে। অথচ এখনো দেশের সবচেয়ে বড় ফেডারেশন ক্রিকেট বোর্ডকে ডাকেনি এই কমিটি।

ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২৯ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি বিভিন্ন ফেডারেশনের কার্যক্রম, গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। দুই মাস মেয়াদী এই কমিটি ইতোমধ্যে ৪০ টির বেশি ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেছে। এই সপ্তাহের শেষের দিন সভা রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সঙ্গে। অথচ এখনো দেশের সবচেয়ে বড় ফেডারেশন ক্রিকেট বোর্ডকে ডাকেনি এই কমিটি।

অন্য দশটি ফেডারেশনের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত সংস্থা। ক্রিকেট বোর্ডের প্রকৃত জবাবদিহিতা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত দেড় দশকে আদায় করতে পারেনি। ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রে রয়েছে অনেক অসঙ্গতি, বোর্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আছে অনেক অনিয়মও। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় বিসিবি প্রধান হয়েছেন ফারুক আহমেদ। সেই ফারুক আহমেদ কোচ বিদায় ও নিয়োগের ঘটনা ঘটিয়েছেন আনুষ্ঠানিক বোর্ড সভা ছাড়াই।

বিসিবিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় দুই জন কাউন্সিলর রয়েছেন। সেই দুই জন এনএসসির হলেও এনএসসি স্বার্থ রক্ষা করতে দেখা যায়নি সেভাবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়ের অন্যতম উৎস বিসিবির গেট মানি ও প্রচার স্বত্ত্ব। বিসিবির এই আয়ের সঠিক হিসাব না পাওয়ার আফসোস এনএসসির বহু দিনের। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আজ বাফুফে ভবনে এসেছিলেন। তার এই আকস্মিক সফরের সময় সার্চ কমিট বিসিবি ও বাফুফেকে এখনো না ডাকার প্রসঙ্গ উঠেছিল। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি বাফুফের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে সার্চ কমিটি বসেছিল। প্রয়োজনে তারা আবার আসবে।’ সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বিসিবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিসিবিকে আমরা ডাকব।’

৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক স্থবিরতা এসেছে। জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে কোনো ক্রীড়া কমিটি নেই। ফেডারেশনগুলো নিয়মিত খেলাধূলা আয়োজন করছে না। এই স্থবিরতা সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্চ কমিটি ইতোমধ্যে ১০-১২ ফেডারেশনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছে। আমরা এটি পর্যালোচনা করছি। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি প্রকাশ হলে আপনারা জানবেন। তখন সেই ফেডারেশনগুলো আবার সক্রিয় হবে।’

২১ আগস্ট জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভেঙেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ভাঙার কিছু দিনের মধ্যেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কমিটি পুর্নগঠনের গাইডলাইন করে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রেরণ করেছে। বিভাগের মধ্যে শুধু খুলনা আর ৬৪ জেলার মধ্যে মাত্র তিনটি জেলা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে কমিটি অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছে। 

এজেড/এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *