দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় সার্কিট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা জানান। এ সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়করা দেশ সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন।
সমন্বয়করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএনসিসিকে নিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন ও সংস্কারের দাবি জানান।
তারা বলেন, সারা দেশে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গুলি করা হয়েছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকলে, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
সমন্বয়কদের একজন বলেন, এখন দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নাই। তাই কোথাও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা যাবে না। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতগুলো রাজনৈতিক দখল করে নিয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে রাজনীতি মুক্ত।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকে। দেশের ৯০ ভাগ মামলাই এই ভূমি নিয়ে। কেউ যদি সেখানে আগুন দেয়, এতে অনেক মানুষ সর্বস্ব হারাবে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে
তিনি বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ১৭টি ও মহানগরের ১৬টিসহ মোট ৩৩টি থানা রয়েছে। আমরা যদি অন্তত থানা প্রতি ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক পাই, তবে ধীরে ধীরে থানাগুলোতে স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সভায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের সর্বমোট ৩৩টি থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদসমূহ, কোর্ট বিল্ডিং-সংলগ্ন এলাকা, ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে, সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ অফিসসমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আলোচনা হয়।
আরএমএন/এমএ