হামাসের পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন কে?

হামাসের পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন কে?

ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বে ফের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে গোষ্ঠীটি তৎপরতা শুরু করেছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বে ফের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে গোষ্ঠীটি তৎপরতা শুরু করেছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

গোষ্ঠীটির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে হামাসের প্রধান নেতার পদের জন্য ঘুরে ফিরে আসছে চারটি নাম— খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার।

তবে এই চার জনের মধ্যে মোহাম্মদ সিনওয়ার সম্ভবত প্রথমেই বাদ পড়তে যাচ্ছেন, কারণ হামাসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা শুরা কাউন্সিল এমন একজনকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নির্বাহীর পদে আনতে চাইছে, যিনি গাজার বাইরে অবস্থান করছেন। সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজায় হামাসের প্রধান সংগঠক হিসেবে তার ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ারকে সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করছে শুরা কাউন্সিল। তাই তাকে গাজাতেই থাকতে হবে। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য তিনি প্রথম পছন্দ হবেন না।

তালিকার বাকি ৩ জন বর্তমানে অবস্থান করছেন কাতারের রাজধানী দোহায় এবং তিনজনই হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তাদের মধ্য থেকে হামাস প্রধান বেছে নেওয়া হতে পারে।

গত ৩১ জুলাই ইরানে এক আততায়ী হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ও শীর্ষ নির্বাহী নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর আগস্ট মাসে এই পদে আসেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এর আগ পর্যন্ত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ছিলেন তিনি।

হামাসের শীর্ষ পদে আসার পর গোষ্ঠীটির উপপ্রধান নেতা হন খলিল আল হায়া। সেই হিসেবে সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর খলিল আল হায়ারই হামাসের প্রধান নেতা হওয়ার কথা। তবে এক্ষেত্রে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ মেশাল এবং মোহাম্মদ দারউইশ। খালেদ মেশাল হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার পাশাপাশি একজন দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তাও। মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ এবং লিয়াজোঁর ব্যাপারটি তিনিই দেখভাল করেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ দারউইশ হামাসের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী শাখা শুরা কাউন্সিলের সদস্য।

হামাসের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ১৯৮৭ সালে হামাসের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ও সামরিক শাখা পৃথক। তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার ক্ষমতা নেওয়ার পর এই দু’টি শাখা এক হয়ে গিয়েছিল। গোষ্ঠীটি আবার তার পুরনো ব্যবস্থায় ফেরত যেতে চাইছে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রধান নেতার পদ দীর্ঘদিন শূন্য রাখার সংস্কৃতি হামাসের নেই এবং এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না। অন্যান্য বারের মতো এবারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেছে নেওয়া হবে শীর্ষ নেতৃত্ব।

মিসরের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আল-আহরামের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশরাফ আবুয়েলহৌল রয়টার্সকে বলেন, “১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠত হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটিকে আথিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। এখন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির সবেচেয়ে শক্তিশালী মিত্রও ইরান। সুতরাং হামাস এমন একজনকেই শীর্ষ নির্বাহীর পদে বেছে নেবে, যিনি ইরানের সঙ্গে গোষ্ঠীটির মিত্রতাকে আরও এগিয়ে নিতে পারবেন।”

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *