রাবি ছাত্রদলের দুই নেতাকে অব্যাহতি

রাবি ছাত্রদলের দুই নেতাকে অব্যাহতি

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীবকে সাংগঠনিক পদ এবং ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেনকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীবকে সাংগঠনিক পদ এবং ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেনকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের এক কর্মীর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা আহসান হাবিব ও হাসিবুল ইসলামের ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের দুইটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়।

২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে হাসিবুল ইসলাম হাসিব ছাত্রলীগের ওই নেতাকে বলেন, শুনেন এখন আপনাদের (ছাত্রলীগ) সব থেকে বড় শত্রু কে জানেন? জবাবে ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, কে ভাই? হাসিব বলেন, কে বড় শত্রু বলেন তো? ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, এ বিষয়ে আমার আইডিয়া নেই ভাই। হাসিব বলেন- সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী। এরা হচ্ছে শিবির। সাধারণ শিক্ষার্থী মানেই শিবির। তারা কিন্তু আপনাকে ছাড় দেবে না। আমাদের মামলার লিস্ট দেখছেন? জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জি ভাই দেখলাম। ফোনের অপর পাশ থেকে হাসিব বলেন, আমাদের মামলা এখনো এন্ট্রি হয়নি, কাল হবে। আমরা তো একটা মামলা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন আরেকটা মামলা করবে। লিস্ট তো দেখেছেনই। এ লিস্ট অনুযায়ী আরেকটা মামলা হবে। যেটা হল প্রশাসন করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের কথা উল্লেখ করে হাসিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নেতাকে বলেও লাভ হবে না। আমাদের একটা গ্রুপ আছে। রাজনীতিতে একটা গ্রুপিং আছে। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, অবশ্যই জি ভাই। হাসিব বলেন, আপনি মনে হয় জানেন না। আপনি যদি আবিরকে বলেন, এখন আবির যার সঙ্গে রাজনীতি করে তাকে দিয়েও যদি বলানো হয় লাভ নাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সর্বোচ্চ নেতা কে? আহ্বায়ক রাহি ভাই। উনিও যদি আমাকে মানা করে মামলাটা করো না তাও লাভ হবে না। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জি ভাই। হাসিব বলেন, আমরা এন্টি রাজনীতি করি। সভাপতি-সেক্রেটারির এন্টি রাজনীতি করি ক্যাম্পাসে। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ভাই বুঝতে পারছি। হাসিব বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নেই। আমরা যেটা করবো সেটাই। তবে আমি একটু আপনার বিষয়ে কথাবার্তা বলি।

এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মাদ আহসান হাবিবের ৫১ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে আহসান হাবিবকে বলতে শোনা যায়, আসামি তো অনেকগুলো। তোমার জায়গায় আরেকটা নাম বসিয়ে দেব। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। দলের দিক দেখে লাভ নাই। তুমি নিজে বাঁচো আগে। একটা মামলা খেয়ে গেলে কেউ দেখবে না। একটা পলিটিক্যাল মামলা ১০/১৫ বছর চলে। এ ছাড়া ফোনের অপর পাশে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীকে রুনু-কিবরিয়ার কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠাতে বলেন ছাত্রদলের এই নেতা। তবে, কল রেকর্ডের বিষয়কে এডিট বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল নেতা আহসান হাবিব। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করলেও হাসিবুল ইসলাম হাসিব স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুই নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের মধ্যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করলে দল সেটা মেনে নেবে না। ছাত্রদল দেশনায়ক তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা মেনে চলছে এবং চলবে।

জুবায়ের জিসান/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *