নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় গণফোরাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় গণফোরাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় গণফোরাম। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন প্রত্যাশার কথা বলেছে দলটি।

নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় গণফোরাম। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন প্রত্যাশার কথা বলেছে দলটি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে বেরিয়ে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলিনি। বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের কথা। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার করতেই হবে। সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়। কারণ ক্ষমতায় গেলে আমরা সবাই রাবণ হয়ে যাই।’

এছাড়া গণ ফোরামের পক্ষ থেকে আরও কিছু দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্টু।

সেই দাবিগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে; পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হবে; অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভালো লোককে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে- এসব বিষয় বলেছি আমরা।

এছাড়া ড. কামাল হোসেন সংবিধান, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেছেন বলেও জানান দলের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু। তিনি বলেন, বাজারে পরিস্থিতি নিয়ে জোর দিয়েছি। সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তাদের বিদেশি এজেন্টরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এ থেকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। 

গণফোরাম অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, সবাইকে একমত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ সরকার জনগণের সরকার। আমাদের নিজেদের রক্ষার স্বার্থে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেকোনো বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইবেন। আমরা যেটা উপলব্ধি করবো সেটাই পরামর্শ দেব। জনগণের জন্য দরজা খোলা আছে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন। পাচার হয়ে যাওয়া লক্ষ কোটি টাকা ফেরত আনতে হবে। দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। সেটা উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সেটা কোনো দলীয় চিন্তা চেতনা নয়, জাতীয় ঐক্যমত্যের চিন্তায় এগোতে হবে।

নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন করতে হবে। এর জন্য সার্চ কমিটি বা কিছু করার প্রয়োজন আছে। ভালো লোক নিয়োগ দেওয়ার দরকার আছে। যাতে অতীতের মত কোনো সমস্যা না হয়।

তিনি বলেন, আমরা কোনো তারিখ উল্লেখ করেনি। বলেছি সংস্কার শেষ অতিদ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য। তবে সংস্কার শেষ না হলে সব একই হবে। নির্বাচনের আগে থাকি রাম, নির্বাচনের পরে হয় রাবণ। ওই ধরনের নির্বাচন কমিশন চাই না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন কমিশন চাই।

সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আলোচনা করে লিখিত আকারে দেব।

আটটি দিবস বাতিল করা হয়েছে, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জাতীয় দিবস ছাড়া কোনো দিবসই রাখা উচিত না।

এমএসআই/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *