সরকার নির্ধারিত দামে টিসিবি পণ্য পাচ্ছেন ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিক

সরকার নির্ধারিত দামে টিসিবি পণ্য পাচ্ছেন ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিক

সম্প্রতি সারা দেশে পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিককে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর থেকেই সরকার কর্তৃক পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি সারা দেশে পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিককে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর থেকেই সরকার কর্তৃক পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প কারখানাগুলোর জন্য বিএনবিসি-২০০৬ এর আলোকে স্টিল স্ট্রাকচার ভবনের জন্য ‘ফায়ার রেজিস্টেন্ট রেটিং’র বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে কিছু বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—

শিল্পে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা; কাস্টমস বন্দর সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও দ্রুততর করা; চট্টগ্রাম বন্দরে পূর্ণ লোডিং ও আনলোডিংয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ বন্ধ করা; এই ক্রান্তিকালে পরবর্তী ৩ মাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা; ব্যাংকখাতের সংস্কার যেন উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব না রাখে; কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়; শিল্পকে ব্যবসাবান্ধব করতে যথাযথ নীতি সহায়তা প্রণয়নের বিষয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা; শিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণসহ একটি টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়ন করা; সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ঋণ শ্রেণিকরণ না করা এবং ঋণ পরিশোধে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৪৪ তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ এর ন্যায় পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ প্রদান করা; তৈরি পোশাক কারখানাসমূহের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন হতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা; ঝুটসহ অন্যান্য রিসাইকেলিং উপযোগী বর্জ্য অপসারণকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখা; পোশাকখাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রণোদনা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা; পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নিরাপদ এক্সিট পলিসির ব্যবস্থা করা; এবং শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনা।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্প এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়। এ সময় বিজিএমইএ’র বোর্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএইচটি/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *