গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহনাজ কামরুন নাহার (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় ভুক্তভোগীর স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহনাজ কামরুন নাহার (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় ভুক্তভোগীর স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর বড় ভাই শাহনেওয়াজ।

আসামিরা হলেন- শাহনাজের স্বামী প্রিন্স মোহাম্মদ আল ফাহাদ চৌধুরী (২৭), শাশুড়ি চেমন আরা রফিক (৬৪), শাহনাজের স্বামীর বড় বোন তাসলিমা আফরোজ (৪৪) ও তার স্বামী মো. লোকমান (৪২), শাহনাজের স্বামীর মেজো বোন খাদিজা আফরোজ (৩৭), স্বামীর সেজো বোন তাহমিনা আফরোজ (৩২) এবং স্বামীর ছোট বোন নাজিফা সালসাবেন (৩০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর তার বোনের সঙ্গে আল ফাহাদ চৌধুরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় তার স্বামী যৌতুক দাবি করতেন। ভুক্তভোগী শাহনাজ ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অনাগত সন্তান ও নিজ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি সব নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলেন। ধীরে ধীরে তার ওপর নির্যাতনের চাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ১৬ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে শাহনাজের শাশুড়ি ফোন করে বাদীর স্ত্রীকে জানান, তার বোন অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। বাদীর বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকা থেকে বিবাদীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ রিসিভ করেননি।

বাদী তার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারেন তার বোনকে চট্টগ্রামের বেসরকারি ন্যাশনাল হসপিটালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই হাসপাতালে তাকে ভর্তি না করায় পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর বোনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ‘লিগ্যাচার মার্ক অ্যারাউন্ড নেক’। এরপর তার বোনের মরদেহ সেখানে ফেলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বিবাদীরা। বাদীর ধারণা বিবাদীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং প্ররোচনার কারণে তার বোন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন বলেন, মেয়েটা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে শুনেছি। যার কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। মূলত আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগেই মামলাটি করেছেন তার ভাই। আমরা ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

এমআর/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *