বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্ল্যাটফর্মের আন্দোলনে ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়েছে ফেনী। এ ঘটনায় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্ল্যাটফর্মের আন্দোলনে ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়েছে ফেনী। এ ঘটনায় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার চার লাখ গ্রাহক। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট) বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী ওয়ালী উল্ল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিগত কয়েক মাস ধরেই গ্রাহকসেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। এ প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও ১০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আজও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বিকেল ৩টা থেকে আমরা ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে জানতে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে তুলে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে যান। পরবর্তী আমরা থানায় এসে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও এখনো কিছু জানতে পারিনি।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে জানতে তাকে থানায় আনা হয়েছে। তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে আরইবি-পবিস (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি) একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ সব চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় তারা মে মাসে পাঁচ দিন ও জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।
তারেক চৌধুরী/এমজেইউ