বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার পরও দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিচ্ছিন্ন দু-একটি সত্য ঘটনা ব্যতীত বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার হচ্ছে। সে কারণে বিএনপির আয়না স্বরূপ যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাবধানে রাজনীতি করতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি তা করবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনীতির ধরণ বদলে জনগণমুখী রাজনীতি করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার পরও দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিচ্ছিন্ন দু-একটি সত্য ঘটনা ব্যতীত বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার হচ্ছে। সে কারণে বিএনপির আয়না স্বরূপ যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাবধানে রাজনীতি করতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি তা করবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনীতির ধরণ বদলে জনগণমুখী রাজনীতি করতে হবে।
‘আমরাই গড়বো আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিকনির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মহানগর এবং বিকেলে জেলা শাখার পৃথক যৌথসভা খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর স্বাধীন বাংলাদেশে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে মানুষ। অন্যদিকে, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে মহান সৃষ্টিকর্তা দেশ-পরিচয়হীন করে দিয়েছেন। তিনি এখন ভারতের এমন আশ্রয় আছেন, যেন তার নিজের কোনো দেশ নেই। তবে সেখানে বসে তিনি প্রতিনিয়তই নানামুখী ষড়যন্ত্র করছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের সুফল থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না। আমাদের একটি ভুলের জন্য আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ইমেজ সংকটের সৃষ্টি হয়-এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আমাদের অনৈক্যের কারণে যেন গণহত্যাকারী মাফিয়া লুটতরাজকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে না পারে; সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, সারা দেশেই যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল তথা বিএনপি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি, নিচ্ছি এবং নেবো। দুষ্টু লোকদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে দেশনায়ক তারেক রহমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। আগামীতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সে কারণে জনগণের কাছে তারেক রহমানকে শ্রদ্ধার আসনেই রাখতে হবে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন তারেক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম কবির।
সভায় নেতারা বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে জিয়ার সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে কাজ করার পাশাপাশি পতিত স্বৈরাচার যাতে ফেরত না আসতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সবাইকে। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হঁটাতে আমাদের ২৭শ নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছেন, ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কাউকে কাউকে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেওয়া হয়নি। বিগত ১৬ বছর আমরাই ফ্যাসিবাদের দ্বারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মী-সমার্থকরাই। এখনো আমাদের ধৈর্য ধরে সততার সঙ্গে এগোতে হবে, যাতে সাম্য ও মানবিক সমাজ গঠন করতে পারি। এটিই আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা।
মোহাম্মদ মিলন/এএমকে