ঘরে বসেই রিচার্জ করা যাবে এমআরটি পাস

ঘরে বসেই রিচার্জ করা যাবে এমআরটি পাস

ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস কার্ডের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এই অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডহোল্ডার যাত্রীরা সহজেই ঘরে বসে নিজ নিজ কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।

ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস কার্ডের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এই অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডহোল্ডার যাত্রীরা সহজেই ঘরে বসে নিজ নিজ কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি বলেন, ঘরে বসেই যাতে এমআরটি কার্ড রিচার্জ (টপআপ) করা যায়, সে জন্য অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই চুক্তি হবে, বিষয়টি ফাইনাল স্টেজে আছে। আশা করি, খুব শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে বন্ধ থাকা মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন। কাল উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এটি উদ্বোধন করবেন। সেসময় তিনি এই স্টেশনে মেরামতে কত খরচ হয়েছে জানাবেন।

তিনি বলেন, ১৯ জুলাই দুটি স্টেশন ভাঙচুর করা হয়। গত ১৪ আগস্ট এই দুটি স্টেশন নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর উপদেষ্টা মহোদয় দুইটি স্টেশন পরিদর্শন করেন। তিনি তাড়াতাড়ি কীভাবে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে বলেন। এই স্টেশন ঠিক করতে কোন ঠিকাদার বা বিদেশি কাউকে লাগেনি। ডিএমটিসিএল নিজেই দুটি স্টেশন ঠিক করেছে।

এর আগে এই দুটি স্টেশন ঠিক করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ও ১ বছর সময় লাগবে এমন বলা হয়েছিল। কেন এমন বলা হয়েছিল, এমন প্রশ্নে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যিনি বা যারা এগুলো বলছিলেন তাদের থেকে এই বিষয়ে জানতে।

এত তাড়াতাড়ি কীভাবে স্টেশন চালু করা সম্ভব হলো তার জবাবে তিনি বলেন, লোকাল যেসব রিসোর্স ছিল সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশন থেকে কিছু জিনিস নেওয়া হয়েছে। এই দুটি স্টেশন ঠিক করতে নতুন করে সরকার থেকে টাকা নিবে না ডিএমটিসিএল।

এদিকে আগামী শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময়) ১২ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট করা হবে। এতে ৬০ টির পরিবর্তে ৭২টি ট্রেন চলাচল করবে।

মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ২৫ আগস্ট থেকে চালু হওয়ার পর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর দিনে গড়ে আয় হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অক্টোবরে প্রথম ১৩ দিনে আয় হয়েছে ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর দিনে গড় আয় ৮৬ লাখ টাকা। অক্টোবরে চার দিনে ছুটি থাকায় রাজস্ব আয় একটু কম হয়েছে। ২০২৫ সালের পর এটির লাভ ক্ষতি নিয়ে তথ্য বলা যাবে। তখন পুরোপুরি কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে।

/এমএইচএন/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *