সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়। কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে এই স্থানে। যা ঘিরে পর্যটক ও পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসরে পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে। প্রতিমা বিসর্জনে দুর্ঘটনা এড়াতে মহড়ায় থাকবে নৌবাহিনীর সোয়াটস কমান্ড।
কক্সবাজার পূজা উর্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শার্মা দীপু বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পূজারিরা আসতে শুরু করেছে। ২টার দিকে অনুষ্ঠানের স্থলে প্রতিমা আনা হয়। প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, পর্যটক ও পূজারিদের নিরাপত্তায় আমাদের কন্টোল রুম চালু করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কাজ করছে।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জনে সময় পূজারিদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের ডুবুরি দল প্রস্তুত। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
ফরহাদ/এসএম