ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর মারা গেল ছেলেও 

ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর মারা গেল ছেলেও 

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে সিফাতুল্লাহ সিফাতেরও (৬) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজন মারা গেল। 

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে সিফাতুল্লাহ সিফাতেরও (৬) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজন মারা গেল। 

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিফাতুল্লাহ। 

এর আগে এদিন সিফাতের বাবা ধোবাউড়া উপজেলার দুধনই গ্রামের মাওলানা আবুল কাশেম (৫০) ও বড় বোন লাবিবা আক্তার (৮) মারা যায়। মাওলানা আবুল কাশেম দুধনই বাজার জামে মসজিদে ইমামতি করতেন এবং মেয়ে লাবিবা ইদারাতুল কোরআন মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। 

ধোবাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার সিফাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দুধনই বাজার থেকে লাকড়ি আনার জন্য মেয়ে লাবিবা এবং ছেলে সিফাতকে নিয়ে বন্যার পানিতে নৌকা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন আবুল কাশেম। বাড়ির পাশেই একটি বাঁশঝাড়ে নৌকা আটকে যায়। তখন ভিমরুলের বাসা ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। আবুল কাশেম প্রথমে সন্তানদের রক্ষা করার চেষ্টা করলেও পরে আর সম্ভব হয়নি। বেশ কিছু সময় পর স্থানীয়রা তাদের ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাবা আবুল কাশেম এবং ছেলে সিফাতুল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টায় আবুল কাশেম মারা যায়। এরপর বিকেল ৩টায় ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় মেয়ে লাবিবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলে সিফাতুল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিফাতও মারা যায়।

ওসি মো. আল মামুন সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন। এসময় তিনি নিহতের পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। 

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *