রেণু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

রেণু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৯ অক্টোবর আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেণু। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেণুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।

রেণু হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।

আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এনআর/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *