যে ‘সুখস্মৃতি’ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ 

যে ‘সুখস্মৃতি’ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ 

ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই তাদের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। তবে প্রথম ম্যাচে দুই দলের পারফরম্যান্স দেখার পর হয়তো সিরিজ বাঁচানোর মতো প্রসঙ্গও কিছুটা কৌতুক মনে হতে পারে। সেই ধারণা বদলাতে হলে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে টাইগার ব্যাটারদের।

ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই তাদের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। তবে প্রথম ম্যাচে দুই দলের পারফরম্যান্স দেখার পর হয়তো সিরিজ বাঁচানোর মতো প্রসঙ্গও কিছুটা কৌতুক মনে হতে পারে। সেই ধারণা বদলাতে হলে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে টাইগার ব্যাটারদের।

আজ (বুধবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ-ভারত। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল ২০২২ সালে। যেখানে স্বাগতিকদের করা ৪ উইকেটে ২১১ রানের রেকর্ড লক্ষ্য প্রোটিয়ারা ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়। 

একই ফরম্যাটে তার আগের আন্তর্জাতিক ম্যাচেও ভারত পরাজিত হয় দিল্লিতে। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে সেটাই ছিল টাইগারদের একমাত্র জয়। ২০১৯ সালে ওই ভেন্যুতে হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। যেখানে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৪৮ রান তোলে। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে শেখর ধাওয়ান সর্বোচ্চ ৪১, রিষভ পান্ত ২৭ এবং শ্রেয়াস আইয়ার ২২ রান করেছিলেন। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

লক্ষ্য তাড়ায় সফরকারীরা শুরুতে লিটন দাসের উইকেট হারায়। এরপর ছোট পুঁজি তাড়ায় নাঈম শেখ (২৬) ও সৌম্য সরকাররা (৩৯) কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন। শেষদিকে ৬০ রানের জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজন অপরাজিত থেকে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করার ম্যাচে মুশফিক ৪৩ বলে ৬০ এবং রিয়াদ ৭ বলে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। সেই সময় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, আর এবার ফরম্যাটটিতে নিজের শেষ সিরিজ খেলছেন তিনি।

তবে এরই মাঝে অনেককিছু বদলে গেছে। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, এখানকার টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট হয়ে থাকে। ২০২৪ আইপিএল আসরে ভেন্যুটিতে পাঁচটি ম্যাচ হয়েছিল। যেখানে ১০ ইনিংসের মধ্যে আটটিতেই উঠেছে দুইশ’র বেশি রান। এর মধ্যে আড়াইশ পেরিয়েছে দুই বার, আরেকটি ছিল ২৪৭ রান। বাকি দুটি ইনিংসও ২০০ ছুঁই ছুঁই করেছে। ফলে বোলারদের বড় পরীক্ষায় পড়তে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। রাতের দিকে শিশির পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও আজ দিল্লির আবহাওয়া স্বাভাবিকই থাকবে বলে জানা গেছে।

দিল্লির ব্যাটিং স্বর্গে বাংলাদেশের বোলারদের সম্ভাবনার বিষয়ে গতকাল মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পেস এবং স্পিন উভয় বিভাগেই ব্যতিক্রমী বোলিং ইউনিট আছে। গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করে আসছে তারা। যদি গত ম্যাচ দেখে আমাদের বোলারদের সম্পর্কে দ্বিধা তৈরি হয়, তাহলে সেটি অবিচার হবে। আমি মনে করি আমরা ওই জোন থেকে বেরিয়ে আসব এবং ম্যাচ জিতব।’

একইভাবে বোলারদের দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার কথা বললেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং, ‘আমরা ম্যাচটি খেলার জন্য নিরপেক্ষ মানসিকতা নিয়ে এসেছি। পিচ সম্পর্কে স্থির কোনো ভাবনা নেই, আমরা চাইব কত দ্রুত এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *