রহস্যে ঘেরা বাফুফে নির্বাচন

রহস্যে ঘেরা বাফুফে নির্বাচন

বাফুফে নির্বাচনের দিকে সব সময় বাড়তি নজর থাকে ক্রীড়াঙ্গনের। নির্বাচনের মাস খানেকের মাঝেই দুই প্যানেলের একটি রূপরেখা স্পষ্ট থাকে। আগামীকাল থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ শুরু। তবে এখনও বাফুফে নির্বাচনের মেরুকরণ স্পষ্ট হয়নি। 

বাফুফে নির্বাচনের দিকে সব সময় বাড়তি নজর থাকে ক্রীড়াঙ্গনের। নির্বাচনের মাস খানেকের মাঝেই দুই প্যানেলের একটি রূপরেখা স্পষ্ট থাকে। আগামীকাল থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ শুরু। তবে এখনও বাফুফে নির্বাচনের মেরুকরণ স্পষ্ট হয়নি। 

বিগত বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থীরা একাধিক প্যানেলে প্রার্থীতা করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন দুই জন। যদিও শেষ পর্যন্ত তরফদার রুহুল আমিন নির্বাচন করবেন কি না এ নিয়ে জোর সংশয় রয়েছে। তরফদার রুহুল আমিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও একটি প্যানেল স্বাভাবিকভাবেই কম হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাবিথ আউয়ালের সমর্থিত প্রার্থীদেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আবার তাবিথ আউয়াল সভাপতি পদের জন্য কাজ করলেও প্যানেল নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট বার্তা দেননি। 

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না আগেই ঘোষণা দিয়েছেন। সালাউদ্দিন এই ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সবার আগে নির্বাচন নিয়ে ঘোষণা দেওয়া এই সংগঠক এরপর খানিকটা নিভৃতে চলে যান। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সেই রকম তৎপরতা দেখাননি তিনি। অবশ্য তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বা বার্তাও দেননি। 

বাফুফের দুই মেয়াদে সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ আউয়াল। বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফুটবলাঙ্গনে জোর গুঞ্জন, সালাউদ্দিনের অনুগত ব্যক্তিরা তাবিথের সঙ্গেই থাকছেন। সালাউদ্দিন ও তার ঘনিষ্ঠ অনুসারী মাহফুজা আক্তার কিরণের প্রতি ফুটবলাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষোভ। সেই হিসেবে আবার তাবিথ তাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তও হতে পারছেন না। 

বাফুফে নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির প্রভাবের উর্ধ্বে নয়। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রাধান্য ছিল। এবার নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সভাপতি প্রার্থী হতে ইচ্ছে প্রকাশ করা স্বয়ং তাবিথ আউয়ালই বিএনপি মনোনীত ঢাকা উত্তরের মেয়র ছিলেন। তাবিথ আউয়াল বিএনপি নেতা হলেও তার সভাপতি প্রার্থীতা ঘোষণার দিন দলীয় কেউ ছিলেন না। অথচ তরফদার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা ঘোষণার সময় বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক ও খায়রুল কবির খোকন ছিলেন। ফলে এখানেও একটা রহস্য কাজ করছে। 

সভাপতির পরের পদ সিনিয়র সহ-সভাপতি। সেই পদে গুঞ্জন রয়েছে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো বক্তব্যই দেননি কোথাও। আবার আরেকটি গুঞ্জন রয়েছে– তাবিথ আউয়াল ও তরফদার রুহুল আমিনের মধ্যে সমঝোতা হলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে তরফদার রুহুল আমিনই হতে পারেন। যদিও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ।

সহ-সভাপতি পদে চারজন থাকতে পারেন। বর্তমানে তিন সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, মহিউদ্দিন মহী ও কাজী নাবিলের কেউই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সহ-সভাপতি পদে কারা নির্বাচন করবেন এটি এখনও ধোঁয়াশা। বিগত নির্বাচনগুলোতে সহ-সভাপতি কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেটা এক মাস আগেই স্পষ্ট থাকত। ১৫ নির্বাহী সদস্য পদে বর্তমান কমিটির অনেকেই পুনরায় প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন জাকির হোসেন চৌধুরি, আমের খান, মহিদুর রহমান মেরাজ ও টিপু সুলতান। গত নির্বাচনে বিজিত হওয়ায় অনেকে নির্বাচন করবেন, এদের মধ্যে আছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল হোসেন ও সিরাজগঞ্জ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল ইসলাম হিল্টন। একেবারে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করবেন এমন কয়েকজনও রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম গাউস।

আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র প্রদান শুরু। সাবেক দুই জাতীয় ফুটবলার গাউস, ইকবালের পাশাপাশি নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীনের সদস্য পদে ফরম সংগ্রহ করবেন দুপুরের আগেই। সভাপতি পদে আগামীকাল ফরম নেওয়ার কথা রয়েছে তাবিথ আউয়ালেরও। সভাপতি পদে ঘোষণা দেওয়া তরফদার রুহুল আমিনের এই সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

এজেড/এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *