মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চলে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১০

মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চলে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১০

প্রবল বর্ষণের জেরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় অঞ্চলের ৫ জেলায় বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। উল্লেখ্য গারো পাহাড় অঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণের কারণে বাংলাদেশের শেরপুর-ময়মনসিংহ অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকাতেও বন্যা শুরু হয়েছে সম্প্রতি।

প্রবল বর্ষণের জেরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় অঞ্চলের ৫ জেলায় বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। উল্লেখ্য গারো পাহাড় অঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণের কারণে বাংলাদেশের শেরপুর-ময়মনসিংহ অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকাতেও বন্যা শুরু হয়েছে সম্প্রতি।

মেঘালয় রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৭ জন সাউথ গারো হিলস এবং ৩ জন ওয়েস্ট গারো হিলসের বাসিন্দা ছিলেন। বন্যায় এ দু’টি জেলাতেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাঙমা বলেছেন, বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা এবং ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করতে ৫ জেলার স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোনো ব্যাপারে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অনতিবিলম্বে রাজ্য সরকারকে তা জানাতে বলা হয়েছে।

তার আগের দিন শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিরামহীন বর্ষণের জেরে মিজোরামের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার ডালু এলাকা এবং সাউথ গারো হিলসের গাসুয়াপারা অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বন্যার পানির স্রোতে গাসুয়াপাড়া এলাকার একটি সেতু ভেসে গেছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়েস্ট গারো হিলস জেলায় নিহত তিন জনই ডালু এলাকার। আর সাউথ গারো হিলসে নিহত ৭ জনের সবার বাড়ি জেলার হাতিয়াসিয়া সংমা গ্রামে। এই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের কারণে।

মেঘালয় রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের এক কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে বলেন, “বন্যা ও ভূমিধসের কারণে গারো পাহাড় অঞ্চলের ৫ জেলার উপদ্রুত অঞ্চলগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় কাঙ্ক্ষিত গতি আনা যাচ্ছে না।”

প্রসঙ্গত, চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ভারী বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসের জেরে অন্তত ১২০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র : দ্য হিন্দু

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *