খুলনায় পূজামণ্ডপ পাহারায় বিএনপির কমিটি গঠন

খুলনায় পূজামণ্ডপ পাহারায় বিএনপির কমিটি গঠন

আসন্ন দুর্গোৎসবে নগরীর সকল মন্দির পাহারায় খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে পূজা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।

আসন্ন দুর্গোৎসবে নগরীর সকল মন্দির পাহারায় খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে পূজা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসব কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও পরিচালনা করেন মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।

সভায় আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে নগরীর অসমাপ্ত ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ ছাড়া সভা থেকে সুসংগঠিত খুলনা মহানগর বিএনপির মধ্যে যাতে আওয়ামী লীগের দোসররা প্রবেশ না করতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সর্তক থাকার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সভায় খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিল। এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমরা সবাই বাংলাদেশি।’ এ কথাটি শুধু মুখে বললেই হবে না, কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি প্রকাশ করতে হবে।

মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ আর নাৎসীরা কখনোই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসন হতে পারে না। মুসলিনী আবার ফিরে আসেনি ইতালিতে, হিটলার আবার পুনর্বাসিত হয়নি জার্মানিতে। সুতরাং কোনোভাবেই মাফিয়া-নাৎসী-ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না।

একটি নতুন বৈপ্লবিক বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, একটি আইনের শাসনের বাংলাদেশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বাংলাদেশ গড়তে হবে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় দুই হাজার লোকের জীবন কেড়ে নিয়েছে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো প্রশাসনে রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছেন। তাই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স. ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদি, কে এম হুমায়ূন কবির, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, অ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবীর মিল্টন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শেখ ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, মুন্তাসির আল মামুন, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব রকিবুল ইসলাম মতিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিবরা।

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *