শেরপুরে নতুন করে আরও দুটি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এসব অঞ্চলে বন্যার দেখা দিয়েছে। এর আগে গত দুই দিনে তিনটি উপজেলা প্লাবিত হয়।
শেরপুরে নতুন করে আরও দুটি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এসব অঞ্চলে বন্যার দেখা দিয়েছে। এর আগে গত দুই দিনে তিনটি উপজেলা প্লাবিত হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পযন্ত এসব অঞ্চর প্লাবিত হয়।
নতুন করে প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলো হলো, শেরপুর সদর উপজেলার ধলা, পাকুরিয়া ও গাজির খামার ইউনিয়ন। এ ছাড়া নকলা উপজেলার গনপদ্দি, উরফা ও নকলা ইউনিয়ন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুরে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ভেঙে গেছে বিভিন্ন নদীর পাড়, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর মহারশি ও ভোগাই নদীর অন্তত ১০ জায়গায় বাধ ভেঙে ও পাড় উপচে প্লাবিত গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও আবাদ তলিয়ে গেছে। এসব অঞ্চলে পানিবন্দি রয়েছে প্রায় এক লাখের মতো মানুষ। নকলা ও শেরপুর সদর উপজেলায় প্লাবিত হওয়ায় দুই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শনিবার বিকাল ৩টায় পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, নকলা এবং নালিতাবাড়ী শেরপুর সদর উপজেলার জেলার বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় তথ্য পেয়েছি। শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এএমকে