সেই শিশুর পরিবারকে প্রতি মাসে খাদ্যসামগ্রী দেন তারেক রহমান

সেই শিশুর পরিবারকে প্রতি মাসে খাদ্যসামগ্রী দেন তারেক রহমান

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের গর্ভ ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমার পরিবারকে প্রতি মাসের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে খুশি পরিবারের স্বজনরা তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের গর্ভ ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমার পরিবারকে প্রতি মাসের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে খুশি পরিবারের স্বজনরা তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতি মাসের ধারাবাহিকতায় ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামে শিশু ফাতেমার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের কাছে মাসিক বাজার পৌঁছে দেওয়া হয়।  

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন প্রতিনিধি হিসেবে প্রতি মাসের ধারাবাহিকতায় এই বাজার পৌঁছে দিয়েছেন।

নাইমুল করিম লুইন ঢাকা পোস্টকে জানান, বিগত ২ বছর ৩ মাস যাবত পরিবারটির কাছে নিয়মিত এই মাসিক বাজার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাজারের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, আটা, মাছ, মাংস, মুড়ি, সেমাই, বিস্কুট, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী।  

শিশু ফাতেমার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমার ছেলে, পুত্রবধূ  ও এক নাতি নিহতের পর থেকে তারেক রহমান সাহেব নিয়মিত আমাদের পরিবারকে মাসের বাজার দিচ্ছেন। এতে আমরা অনেক খুশি। তিনি আমাদের মনে রেখেছেন।  

ফাতেমা কেমন আছে জানতে চাইলে বাবুল বলেন, ফাতেমা ঢাকার আজিমপুর ছোট্টমনি নিবাসে ভালো আছে। সেখানে সরকারিভাবে তার দেখভাল করা হচ্ছে। আমরা প্রতিমাসে একবার গিয়ে তাকে দেখে আসি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম ও ছয় বছরের শিশুকন্যা সানজিদাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে ফেরার পথে স্থানীয় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় হঠাৎ বেপরোয়া একটি মালবাহী ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। এ সময় মৃত মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয় শিশু ফাতেমা। ওই সময় ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে শিশু ফাতেমা ও তার পরিবারের দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। সেই থেকে এই পরিবারটির প্রতি মাসের বাজার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তার পক্ষ থেকে। আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *