বাংলাদেশকে ভাঙার ক্ষমতা ভারতের আছে, বিজেপি মিত্র দলের নেতার হুমকি

বাংলাদেশকে ভাঙার ক্ষমতা ভারতের আছে, বিজেপি মিত্র দলের নেতার হুমকি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং উপজাতিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ত্রিপুরায় মিছিল করেছে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ত্রিপরা মোথা। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দলটির শীর্ষ নেতা বাংলাদেশকে ভেঙে আরেক নতুন দেশ তৈরির হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের এই সক্ষমতা আছেও।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং উপজাতিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ত্রিপুরায় মিছিল করেছে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ত্রিপরা মোথা। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দলটির শীর্ষ নেতা বাংলাদেশকে ভেঙে আরেক নতুন দেশ তৈরির হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের এই সক্ষমতা আছেও।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিলটি করেন। এরপর প্রধান নেতা প্রদ্যোত কিশোর বক্তব্য দেন।

তিনি বাংলাদেশকে ভাঙার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি দাবি করেন; যদি ত্রিপুরা সাহায্য না করত তাহলে বাংলাদেশও হতো না এবং মুক্তিবাহিনী বলেও কিছু থাকত না।

প্রদ্যোত কিশোর বলেন, “আজ মুসলিমরাও আমাদের হিন্দু মন্দিরগুলো রক্ষা করে। আমাদের রাজবাড়িতে এখনো নামাজ হয়। এটি ভারত এবং আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয়টিকে শ্রদ্ধা জানায় না। ত্রিপুরাকে ছাড়া বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকত না, থাকত না মুক্তিবাহিনীও।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশিরা এখন ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। তারা বলে তারা নাকি ত্রিপুরা এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সরকারকে চাপ দিতে হবে তারা যেন বাংলাদেশের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে।”

বাংলাদেশে ভাঙার হুমকি দিয়ে বিজেপির মিত্র দলের এই নেতা বলেন, “ভারত চুপ ছিল কারণ শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনা ভারতের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু এই বন্ধুত্ব এখন আর নেই। যদি বাংলাদেশিরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, পাকিস্তান ভেঙে ভারত বাংলাদেশ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ভেঙে আরেকটি দেশ তৈরি করার সক্ষমতাও ভারতের আছে। যদি তারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ না করে আমরা চুপ থাকব না।”

তিনি দাবি করেন, তার পরিবার আগে ব্রাক্ষণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামকে শাসন করত। ওই সময় সবাই মিলেমিশে থাকত। কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই।

সূত্র: মাইইন্ডিয়া

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *