গার্মেন্টস ছাড়াও রপ্তানিকারকরা সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করতে পারবে

গার্মেন্টস ছাড়াও রপ্তানিকারকরা সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করতে পারবে

তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি নন-আরএমজি (তৈরি পোশাক উৎপাদন করে না) খাতের রপ্তানিকারকরাও সাব কন্ট্রাক্টে বা উপ-চুক্তির মাধ্যমে অন্য কারখানায় পণ্য উৎপাদন করতে পারবেন। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স আছে তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ও রপ্তানি আদেশ বৃদ্ধিতে রপ্তানিকারকদের এই সুযোগ দিয়েছে সরকার।

তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি নন-আরএমজি (তৈরি পোশাক উৎপাদন করে না) খাতের রপ্তানিকারকরাও সাব কন্ট্রাক্টে বা উপ-চুক্তির মাধ্যমে অন্য কারখানায় পণ্য উৎপাদন করতে পারবেন। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স আছে তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ও রপ্তানি আদেশ বৃদ্ধিতে রপ্তানিকারকদের এই সুযোগ দিয়েছে সরকার।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আদেশে জানানো হয়, উপ-চুক্তির শর্ত শিথিল করেছে এনবিআর। এনবিআরের সঙ্গে আইনি বিরোধে জড়িত  উপ-চুক্তিতে কারখানাগুলো এখন ব্যাংক গ্যারান্টির পরিবর্তে কেবল আন্ডারটেকিং অথবা ইন্ডেনচার বা চুক্তিপত্রের মাধ্যমেই অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারবে। আগে আইনি বিরোধের ক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাক্টিং কারখানার মালিকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হতো।

আদেশ বাস্তবায়নে মোট ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

* কন্ট্রাক্ট আইন ১৮৭২ অনুযায়ী উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, উভয় উৎপাদকের হালনাগাদ নবায়িত ওয়্যারহাউস লাইসেন্স থাকতে হবে, উপ-চুক্তির জন্য রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানে ওয়্যারহাউস লাইসেন্স বা বিজনেস আইডেন্টিটিফিকিশন নম্বর (বিন) স্থগিত থাকলে, তারা উপ-চুক্তির কাজ করতে পারবে না বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০২১ সাল থেকে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাব-কন্ট্রাক্টিং সুবিধা চালু করা হয়। গত জুনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই সুবিধা শুধুমাত্র পোশাক খাতের জন্য বহাল রেখে, বাকি সুবিধাভোগী খাতগুলোর জন্য প্রত্যাহার করা হয়।

তিনি বলেন, এই সুযোগ প্রত্যাহারের ফলে অন্য খাতের ব্যবসায়ীরা আমাদের অভিযোগ করছিলেন যে তাদের অর্ডার কমে গেছে। বিশেষ করে চামড়া রপ্তানিকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এনবিআরকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়। দেশের পরিবর্তির পরিস্থিতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এনবিআর পোশাক খাতের মতো অন্য খাতকেও উপ-চুক্তিতে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুবিধা দিয়েছে।

আরএম/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *