সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, পুলিশ যা পারেনি ছাত্ররা তা করেছেন

সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, পুলিশ যা পারেনি ছাত্ররা তা করেছেন

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার হটানোর এক দফা কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে কাজে নেই পুলিশ বাহিনী। এতে গত মঙ্গলবার থেকে সড়কে শৃঙ্খলা মেরাতে ফের মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আনসার ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার হটানোর এক দফা কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে কাজে নেই পুলিশ বাহিনী। এতে গত মঙ্গলবার থেকে সড়কে শৃঙ্খলা মেরাতে ফের মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আনসার ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করেই রাস্তা পারাপার হতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। সেখানে তাকে আটকান এক তরুণ। পরে সুরক্ষার সঙ্গে রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়।

ওই তরুণ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মগবাজারে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। এমনভাবে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছেন, এখানে ট্রাফিক রুলস ভঙ্গ করার কোনো সুযোগ নেই।

সেখানে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন তরুণ‌ নাঈমুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিমাপ বিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের মতো বাঁশি নিয়ে নেমছেন তিনি।

আরেক তরণী ফাহিমা কানিজ বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অনেকে ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে জানেন না। তাদের এই বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন নিয়ে রিকশা চালক সুমন হোসেন বলেন, তারা পুলিশের থেকে কড়া। পুলিশদের কিছু বললে শুনতো কিন্তু তারা কিছু শোনে না। যা নিয়ম তাই করতে হবে।

পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়ক ও আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো পরিষ্কার করছেন। শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকায় সাধারণ মানুষও প্রশংসা করছেন। পথচারীরা তাদের বাহবা দিচ্ছেন। 

সড়ক পরিষ্কারের পর মাথায় ছাতা ও হাতে বাঁশি নিয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে আরেক শিক্ষার্থী মোমতাহা আক্তার সাবরিন। সে ইস্পাহানি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

সাবরিন বলে, আমরা ট্রাফিক রুলস মানার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেব না। সবাইকে আইন মানতে হবে, আইন না মানলে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সড়কের সিগন্যালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করলেই তারা চালকদের বাধা দিচ্ছেন। এতে করে রাস্তায় বড় ধরনের কোনো যানজট হচ্ছে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষকে রাস্তা পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।

এদিন নগরীর মৎস ভবন এলাকায় ৪ জন মোটরসাইকেল চালককে আটকে দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের ৫-২০ মিনিট অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাস্তা পরিষ্কার ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, ইসলামী আন্দোলন ও আনসার সদস্যরা।

মৎস ভবন এলাকায় দায়িত্বরত হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাদমান সাদাত। তিনি বলেন, শুধু চালক নয়, যাত্রী হেলমেট না পরলেও ছাড় নেই। যে নব বাইকার হেলমেট ব্যবহার করছেন না আমরা তাদের ৫ থেকে ১০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখছি। এই মুহূর্তে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশও নেই। তাই আমরা রাস্তায় যাতে যান চলাচলে সমস্যা না হয় তাই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি।

এনএম/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *