কুষ্টিয়া থেকে কানাডা হানিফের সম্পদ সর্বত্র

কুষ্টিয়া থেকে কানাডা হানিফের সম্পদ সর্বত্র

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

আগামী ১৮ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ-জামান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্যকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। তবে নির্বাচন, সংস্কার ও সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি রোডম্যাপ চায় রাজনৈতিক দলগুলো।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

নির্বাচন প্রসঙ্গ: সরকারের কাছেও সময় জানতে চায় দলগুলো

দেশের অন্যতম একটি প্রধান দল বিএনপি মনে করে, সরকার আন্তরিক হলে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ১৮ মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। আর এটি যত দ্রুত করা সম্ভব হবে, ততই দেশ, জনগণ এবং সরকারের জন্যও মঙ্গল হবে। সরকারের কাছ থেকেও নির্বাচনের সময় নিয়ে রোডম্যাপ আশা করে দলটি। সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে সমর্থন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ সরকারের সংস্কারকে সমর্থন করছি। কিন্তু আমরা বলে আসছি, এখানে নির্বাচনের বিষয়টা জরুরি এবং অগ্রাধিকার। যদি সরকার আন্তরিক হয়, এ-সংক্রান্ত সংস্কার করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান ১৮ মাসের মধ্যেই সম্ভব।’ তিনি মন্তব্য করেন, যত দ্রুত সম্ভব জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন ও ভোটের অধিকার দেওয়া যাবে, সেটা দেশ, জনগণ ও সরকারের জন্যই মঙ্গল হবে।

সমকাল

কুষ্টিয়া থেকে কানাডা হানিফের সম্পদ সর্বত্র

কাগজ-কলমে পেশা তাঁর ব্যবসা। সেটাই ছিল আয়ের একমাত্র উৎস। মাত্র ১৫ বছর আগে সে খাতে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। মাসের হিসাবে তা দাঁড়ায় ২০ হাজার টাকা। ব্যয় দেখিয়েছিলেন দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাড়তি খরচ, বিপদ-আপদ না হলে বছরে তাঁর সঞ্চয় হওয়া সম্ভব ২৫ হাজার টাকা। তাঁর ছিল না কোনো নিজস্ব বাড়ি বা ফ্ল্যাট। ছিল না কোনো কৃষি বা অকৃষি জমি। কোনো কোম্পানিতে ছিল না শেয়ার। ব্যাংকে ছিল না একটি টাকাও। শুধু স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ছিল রাজধানীর নয়াপল্টনে আট লাখ টাকা মূল্যের একটি অফিস স্পেস।

পেশা এখনও তাঁর আগের মতোই; ব্যবসা। কিন্তু আয় মাসে ৩০ লাখ টাকার বেশি। গাজীপুরে কিনেছেন ৩ একর অকৃষি জমি। রাজধানীর গুলশানে ৫ কাঠা ৯ ছটাকের প্লট, কুষ্টিয়ায় ১২ শতাংশ জমির ওপর ৩ তলা ভবন। রয়েছে ছয়টি কোম্পানির শেয়ার। দামি দামি গাড়ি হয়েছে তিনটি। হাতে নগদ থাকা ৩৬ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি। অনুমোদন নিয়ে ৩টি অস্ত্রও এখন আছে তাঁর।

বণিক বার্তা

জুলাইয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সুদ পরিশোধ হয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। আন্দোলন ও সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার প্রভাবে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় পরিচালন ব্যয় মেটাতে সরকারকে দ্বারস্থ হতে হয় ব্যাংক ঋণের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। মূলত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই এ অর্থ নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সমকাল

লুকোচুরিতেও পার পাচ্ছেন না বিতর্কিত ১২ কর্মকর্তা

কেউ ধরেছেন অসুস্থতার ভান! কেউ কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কেউ আবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে লাপাত্তা। কোনো কর্মকর্তা ছেড়েছেন সরকারি বাসা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ‘বিতর্কিত’ ১২ কর্মকর্তা এমনই নানা কীর্তি করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সংসদ সচিবালয়।

এই ১২ কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে রয়েছে নানা গলদ, আছে সমালোচনা। গত দেড় দশকে মন্ত্রী এমপির পিএস পদসহ পছন্দের পদায়ন, বিদেশ সফর, সরকারি প্লট বরাদ্দসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়েছেন তারা। ‘অপরিহার্য কর্মকর্তা’ হিসেবে আত্তীকরণ করা হলেও সংসদের কাজে কখনোই তাদের একাগ্রতা ছিল না। অথচ তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে একাধিকবার নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করলেও আপিল বিভাগের রায়ে তারা চাকরিতে টিকে আছেন। তবে আপিল বিভাগের ওই রায় নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ। 

আজকের পত্রিকা

প্রতিবছর দেশে কোটিপতি বাড়ছে ৭ হাজার করে

করোনা মহামারির সময় অর্থনীতি সচল রাখতে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ সুযোগ (মরিটোরিয়াম) দেওয়ার পাশাপাশি প্রণোদনার আওতায় প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। এতে একটা পর্যায়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়। এমনকি বাড়তে থাকে ধনীর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার পর সাড়ে ৩ বছরে দেশে কোটিপতি বেড়েছে ২৫ হাজারেও বেশি। যদিও একই সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্য জোগাড় করতে হাঁসফাঁস অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর জুন প্রান্তিক (মার্চ-জুন) শেষে ব্যাংকে ১ কোটি টাকার ওপরে আছে–এমন হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজারটি। 

কালবেলা

বিমানে পুরোনো ‘পঞ্চরত্ন’ সিন্ডিকেটের চতুরঙ্গ

রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ১৫ বছর ধরে লুটপাট ও নানা অপকর্মে জড়িত সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য পাঁচজন কর্মকর্তা। তাদের বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘পঞ্চরত্ন’ হিসেবে চেনেন। কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি-পদায়ন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা। তাদের সিদ্ধান্তই ছিল ‘শেষ কথা।’

বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এই পঞ্চরত্ন সিন্ডিকেট চরম শক্তিশালী ছিল। প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে আসা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা বোর্ডও তাদের কাছে জিম্মি ছিল।

কালের কণ্ঠ

আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি, গাড়ি কম

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের আগে সরকারের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এই টানেল দিয়ে বেশি চলাচল করবে ভারী যানবাহন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, উদ্বোধনের পর গত ১১ মাসে টানেলটি দিয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করেছে, তার বেশির ভাগই ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারসহ হালকা যানবাহন।

গণপরিবহন এই টানেল দিয়ে তেমন একটা চলাচল করছে না। সমীক্ষায় যে পরিমাণ গণপরিবহন চলাচল করবে বলা হয়েছিল, বর্তমানে তার চেয়ে তিন-চার গুণ কম গাড়ি চলাচল করছে।

যুগান্তর

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে গচ্চা ৮ হাজার কোটি টাকা

গ্যাসের জোগান নিশ্চিত না করেই খুলনায় ৩টি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ গচ্চা দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রগুলো থেকে কখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, তা সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারছে না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, কেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য যে জ্বালানি (গ্যাস) লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তালিকায় নাম না থাকার পরও দেশের প্রভাবশালী ৪ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিককে গ্যাস দিতে গিয়ে সরকারি তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রথম আলো

রাঙামাটি শহরে সংঘাতের ক্ষত, ভয় কাটেনি

ঠিক এক যুগের ব্যবধানে বড় ধরনের সংঘাত দেখল রাঙামাটি শহর। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পাহাড়ি ও বাঙালিদের সংঘর্ষ হয়। এদিন অনিক কুমার চাকমা নামের ওই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দক্ষিণ কালিন্দীপুর সড়কে।

ঘটনাক্রমে ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এ শহরেই পাহাড়ি–বাঙালির সংঘাত হয়েছিল। শহরের বনরূপা বাজারের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার হামলা হয়েছিল, ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। এবার ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শেভরনের একাংশ।

এছাড়া উত্তরায় মুগ্ধ মঞ্চে দুর্গাপূজার আয়োজন; যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত; এবার বিএনপি নেতাদের দখলে ময়লা বাণিজ্য;  বিদেশে ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদ, দেশে জাবেদ ‘গরিব’; ইসলামী ব্যাংকের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ; আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা —সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *