শরতের পিঠা উৎসবে মেতে ওঠেন খুবি শিক্ষার্থীরা

শরতের পিঠা উৎসবে মেতে ওঠেন খুবি শিক্ষার্থীরা

‘শরতের আকাশ গায় মুক্তির গান, পিঠার স্বাদে জাগে ঐতিহ্যের প্রাণ’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

‘শরতের আকাশ গায় মুক্তির গান, পিঠার স্বাদে জাগে ঐতিহ্যের প্রাণ’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে ফিতা কেটে, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ‘শরৎ সঞ্চার ১৪৩১’ শিরোনামে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। পরে তার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে র‍্যালি বের হয়।

উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত বিভিন্ন রকমের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বিকেলে ক্যাফেটেরিয়াতে মনোমুগ্ধকর এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। 

উল্লেখযোগ্য, পিঠার মধ্যে ছিল মধুরাস্বাদ, নারকেল পুলি, মালপোয়া, ঝালপুলি, রংবাহারি, ক্ষীরের বরফি, ত্রিবেণি, রোলপুলি, গুড়ের নাড়ু, ঝাল বড়া, রসপাকান, ক্ষীর পাটিসাপ্টা, পুষ্পমঞ্জুরি, দুধচিতই, গোলাপ পিঠা, সুন্দরী লতিকা, বিধানের ব্যান, গণিতের কারসাজি, আইনের প্যাঁচ ইত্যাদি। প্রতিটি ডিসিপ্লিন থেকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. ফারদিন আহমেদ দিপন বলেন, সপ্তাহখানেক আগ থেকে ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে এই আয়োজন করেন। পিঠা উৎসব উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাস ডেকোরেশন, রাস্তায় আলপনা, স্টেজ পেইন্ট করা, স্টল নির্মাণ—সব কাজই শিক্ষার্থীরা করেছেন। ছাত্রীরা রাতভর তৈরি করেছেন এসব পিঠা।

খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমরা নতুন এক বাংলাদেশকে পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উদ্যম রয়েছে, তা সবসময় পজিটিভ রাখতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে। কারণ সংস্কৃতি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে, তা ধারণ করে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিতে হবে। সত্যিকারের একজন মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

এই পিঠা উৎসব আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত।

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *