বিতর্কিত সামিনা লুৎফাকে আলোচনা সভায় চান না বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

বিতর্কিত সামিনা লুৎফাকে আলোচনা সভায় চান না বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে আলোচক হিসেবে রাখাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সামিনা লুৎফাকে সমকামিতা সমর্থনকারী আখ্যায়িত করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ওই সভায় তাকে আলোচক হিসেবে দেখতে চান না বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ আলোচনা সভার একটি পোস্টার প্রকাশিত হয়। এর পরই প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।  আলোচক হিসেবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিনের পাশাপাশি অধ্যাপক সামিনা লুৎফার নাম দেখে ক্ষিপ্ত হন তারা।

‘বাকৃবির আঙ্গিনায়, সমকামীদের ঠাঁই নেই’ স্লোগান দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সমাজ, সংস্কৃতি, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নষ্ট করা যাদের লক্ষ্য তাদের স্থান বাকৃবিতে হবে না। বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা চর্চার নামে সমকামী সমর্থনকারীদের এনে অনুষ্ঠান করা হবে, এটা বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না। তবে অধ্যাপক লুৎফাকে বাদ দিয়ে সভা করলে সেখানে কেউ ই বাধা দেবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো. মারুফ বিল্লাহ বলেন, আলোচনা সভার পোস্টার দেখার পরে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি যে বিতর্কিত অধ্যাপক সামিনা লুৎফা সমকামিতা সমর্থন করেন এবং প্রকাশ্যে সেটির প্রচারণাও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ রকম একটি আলোচনা সভায় সকলের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গের নিয়ে আসা উচিত। বিতর্কিত কাউকে আমরা চাই না। এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা।

তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা সভার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ বলেন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বাকৃবির একজন প্রাক্তন শিক্ষক। তাকে আমি ১৮ বছর ধরে চিনি। তিনি সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করেছেন। মানুষের কথা বলার অধিকারের জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং নির্যাতিতও হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের হয়ত কোথাও ভুল হচ্ছে। আশা করছি, তারা অন্যের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে সচেতন হবে।

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এসকেডি 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *