নাটোরের আলোচিত ছাত্রদলকর্মী রাকিব ও রায়হানের জোড়া খুনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. মাইনুদ্দীন এই রায় দেন।
নাটোরের আলোচিত ছাত্রদলকর্মী রাকিব ও রায়হানের জোড়া খুনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. মাইনুদ্দীন এই রায় দেন।
আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ঘোষিত সংবিধান সুরক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিজয় র্যালি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাটোর সদরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলকর্মী রাকিব ও রায়হানকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রাকিবের বড় ভাই আনজুল ইসলাম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন তালুকদার টগর বলেন, এই মামলায় বাদীপক্ষ আসামিদের শনাক্ত করতে না পারায় ও রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণ করতে না পারায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ মামলার ১৪ জন আসামির সকলকেই বেকসুর খালাস দেন।
খালাস পেয়ে আদালত চত্বরে বিএনপি নেতা দুলু বলেন, রাকিব ও রায়হান বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের কর্মী। আওয়ামী লীগের আমলে তাদের হত্যা করে ক্ষমতাসীনরা উলটো বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাইকে দিয়ে মামলা করায়।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এই জোড়া খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর দুলুকে আরও তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ