বিচার বিভাগে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে

বিচার বিভাগে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের জন্য মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

তিনি বলেন, বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না যতদিন বিচার বিভাগ নিয়ে দ্বৈত শাসন বিলোপ না হয়। অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে। বিচার বিভাগের জন্য করতে হবে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয়।

আজ (শনিবার) সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, শাসনের আইন নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা করা হবে। বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, শঠতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনার হাতিয়ার হিসাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে।

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশের আদালতে দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোনো জেলা জজ যদি তার অধীনের আদালতে দুর্নীতি নির্মূলে ব্যর্থ হন সেটা তার অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগ ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে হয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিচার বিভাগ থেকে অনেক অবিচার হয়েছে।

বিচার বিভাগ থেকে যেন আর কোনো অবিচার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

আসিফ নজরুল বলেন, এমন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে মানুষ ন্যায় বিচার পায়। গায়েবি মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি এই অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন করে না। ঢালাও ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের দেখতে হবে অযথা নাগরিকরা যেন হয়রানি না হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকার মেধা, যোগ্যতা ও সততাকে মূল্যায়ন করে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন,বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিয়োগ তার বড় প্রমাণ।

অনুষ্ঠানে সারাদেশের দুই হাজার বিচারক উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচডি/এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *