১৫ বছরের চেষ্টায় আমেরিকার ভিসা, যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে সব শেষ

১৫ বছরের চেষ্টায় আমেরিকার ভিসা, যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে সব শেষ

প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন মো. নজরুল ইসলাম ডাকুয়া (৪৭)। সবকিছু ঠিকঠাক করতে বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে নিজে আগে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাঝ আকাশে থাকা বিমানেই মৃত্যু হয় তার।

প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন মো. নজরুল ইসলাম ডাকুয়া (৪৭)। সবকিছু ঠিকঠাক করতে বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে নিজে আগে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাঝ আকাশে থাকা বিমানেই মৃত্যু হয় তার।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএক্স-৬৬২ নামের একটি ফ্লাইট হংকং বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নজরুল ইসলাম। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিহত নজরুল ইসলাম বরগুনার তালতলী উপজেলা ছোট বগি ইউনিয়নের বগিবাজার নামক এলাকার বাসিন্দা। নজরুল ইসলাম ক্রীড়া অনুরাগী ও পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক ছিলেন।

তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন নজরুল ইসলাম। আমেরিকায় বসবাসরত তার দুই ভাইয়ের কাছে যাওয়ার জন্য দেশটির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার দিনগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিএক্স ৬৬২ নামের একটি বিমানে রওয়ানা দেন। সেখানে সবকিছু গুছিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গিয়ে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় থাকার কথা ছিল নজরুল ইসলামের। এ জন্য প্রথমে একাই আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। পরে আমেরিকাগামী ওই বিমানটি হংকং বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নজরুল ইসলাম। এ সময় বিমানের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ হংকং বিমানবন্দরে তার মরদেহ নামিয়ে রাখে।

নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রীর বোনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় আমার খালু, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সবাই আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন। বাড়িতে সবকিছু ঠিকঠাক করে তিনি আগে রওয়ানা হয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল সেখানেও সবকিছু ঠিকঠাক করে পরে পরিবার নিয়ে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে বিমানের মধ্যে স্টোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার খালুর দুই ভাই আগে থেকে আমেরিকায় বসবাস করতেন। খবর পেয়ে তারা হংকং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। সেখান থেকে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশে রওয়ানা হবেন।

মো. আব্দুল আলীম/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *