হিলি স্থলবন্দরে ঢুকলো ১২৩ টন ভারতীয় পেঁয়াজ, কমবে দাম

হিলি স্থলবন্দরে ঢুকলো ১২৩ টন ভারতীয় পেঁয়াজ, কমবে দাম

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স। 

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স। 

হিলি স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুই দিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।

জানা যায়, গত বছর ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। সে মোতাবেক ভারতের রপ্তানিকারকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় টন প্রতি ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচে কমেছে। 

ইমরান আলী সোহাগ/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *