জয়পুরহাটে ৭৮ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মামলা

জয়পুরহাটে ৭৮ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মামলা

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা, মারপিট ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৭৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর থানায় এ মামলা করেন সদর উপজেলার খনজনপুর পশ্চিম পাতুরিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী শাফি সরকার।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা, মারপিট ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৭৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর থানায় এ মামলা করেন সদর উপজেলার খনজনপুর পশ্চিম পাতুরিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী শাফি সরকার।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ‍দুপুরে থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করলেও রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠু, আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু, বম্বু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার, আমদই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। আসামিরা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। এদিন সরকার পতনের এক দফার দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলটি শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ পাঁচুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ককটেল, হাতবোমা নিক্ষেপ করে মিছিলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এসময় এক ও দুই নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলের ওপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে তিন ও চার নম্বর আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের নির্দেশে ৫ থেকে ১৫নং আসামি পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক বন্দুক কেড়ে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে মিছিলের ওপর এলাপাথারি গুলি করতে থাকে এবং তারা দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। এসময় তাদের বন্দুক থেকে ছোঁড়া গুলিতে অসংখ্য হতাহতের মাঝে শাফি সরকার গুলিবিদ্ধ হন। তার চোখের উপরিভাগে গুলি লেগে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিক ছাত্র-জনতা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থী শাফি সরকারের দায়ের করা মামলা এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে। মামলা তদন্ত চলছে।

চম্পক কুমার/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *