বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে লেখক-সাংবাদিকদের সৃষ্টিশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে লেখক-সাংবাদিকদের সৃষ্টিশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে লেখক-সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। উপস্থিত লেখক-সাংবাদিকরা দেশের এই ক্রান্তিকালে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার ব্যাপারে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সোচ্চার থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রবীণ লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। আমরা একে স্বাগত জানাই। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলতে চাই, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিলে রাষ্ট্রের বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হবে।
কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, শেখ মুজিব সংগ্রামী নেতা হলেও তিনি বড় মাপের ফ্যাসিবাদের প্রতীক। দুর্ভাগ্যের বিষয় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও ফ্যাসিবাদের এই প্রতীক উপদেষ্টাদের মাথার উপর ঝুলছে। তারা সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী সরকার। এই সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ এ সংবিধানকে ফেলে দিয়ে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রেখে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। কারণ, এই সংবিধান দেশের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে না।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত লেখক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এই দেশ, এই সমাজের আয়না। একটি ফ্যাসিবাদী সরকার সমাজে এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল যে, আজ সাংবাদিকদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা তো এমন দেশ চাই না যেখানে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক বা প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে পালিয়ে যেতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের কাছে নতুন করে দেশ গড়ার সঠিক ভূমিকা চাই। আমরা চাই বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে আপনারা সৃষ্টিশীল দৃঢ় ভূমিকা রাখুন, আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
সাংবাদিক আব্দুর রহমান মল্লিকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক সৈয়দ তোশারফ আলী, সাংবাদিক নেতা কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক ও গবেষক কবি শামীমা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ মতিউর রহমান, কবি ও লেখক ফজলুল হক খান, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, কবি আসলাম সানী, সিনিয়র সাংবাদিক জামালুদ্দিন বারী, কবি রফিক মোহাম্মদ, সাংবাদিক নেতা আশরাফুল ইসলাম ও আবুল হাসান হৃদয়, সিনিয়র সাংবাদিক ও ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারে রিট পিটিশনার মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, ছড়াকার আলম শামস, গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিক, লেখক-কবি ইমরান মাহফুজ, সাংবাদিক শাহিদুল ইসলাম, শাহনাজ পলি ও নাসরিন গীতি, কবি জাহেদ আবেদীন, সাংবাদিক নিথর মাহবুব, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ৩৬ জুলাইয়ের সাহসী যোদ্ধা তাহমিনা আক্তার তমা এবং আলেয়া বেগম আলো।
এমএসআই/এসএসএইচ