‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই আমাদের ক্যাম্পাসে হবে না, আন্দোলন চলবে’

‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই আমাদের ক্যাম্পাসে হবে না, আন্দোলন চলবে’

নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র পঞ্চম দিনে ‘রেড সিগন্যাল টু ফ্যাসিস্ট’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই ক্যাম্পাসে হবে না উল্লেখ করে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। 

নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র পঞ্চম দিনে ‘রেড সিগন্যাল টু ফ্যাসিস্ট’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই ক্যাম্পাসে হবে না উল্লেখ করে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। 

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় তাদেরকে ‘এক দুই তিন চার, উপাধ্যক্ষ স্বৈরাচার’, ‘এক দুই তিন চার, কামরুল তুই গদি ছাড়’, ‘এক দুই তিন চার, মাহবুব তুই গদি ছাড়’, ‘পাশ ফেলের ভয় দেখিয়ে, কয়দিন রাখবি চুপ করিয়ে’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। কমপ্লিট শাটডাউনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ। অন্যদিকে প্রধান ফটকের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর মেডিকেল কলেজটি। অধ্যক্ষ ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন পদত্যাগ করলেও বাকিরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন করছি। আজ (রোববার) আমাদের পঞ্চম দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। স্বৈরাচারী অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন ও ডা. রিয়াজ পদত্যাগ করলেও এখনো বাকি স্বৈরাচারের দোসররা ক্যাম্পাসে থাকার স্বপ্ন দেখছেন। আমরা উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগ চাই। ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই আমাদের ক্যাম্পাসে হবে না, আন্দোলন চলবেই।

কেফায়েত উল্যাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, কতটা নির্লজ্জ হলে উপাধ্যক্ষ ডা. মাহবুব ও ডা. কামরুল এখনো পদত্যাগ করেননি। তারা খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর। তারা ফ্যাসিস্ট। আমরা অনেক আগেই তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তারা আমাদের দাবির সঙ্গে তামাশা করছেন। আমরা সবাই সাধারণ ছাত্র। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

হাসিব আল আমিন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *