বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে শহরে হাঁটু পানি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে শহরে হাঁটু পানি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

গত ২৪ ঘণ্টায় টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকার অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিড়ম্বনায় পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। 

এদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের মাছের ঘের ডুবে ভেসে গেছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার বেশকিছু এলাকায় মৎস্য ঘের ডুবে মাছ বের হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি আর দু-একদিন স্থায়ী হলে এসব এলাকার বেশিরভাগ ঘের ডুবে যাবে বলে দাবি মাছ চাষিদের।

তরিকুল ইসলাম নামের এক ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, টানা বৃষ্টিতে পৌরশহরের প্রায় সকল অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। 

আমলাপাড়ার সড়কে বাসিন্দা মমিতা নামের এক গৃহবধূ বলেন, বসত ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় শনিবার রাতে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় শুকনা খাবার খেতে হয়েছে। এখন বাবার বাড়ি যাচ্ছি, এখানে থাকার পরিবেশ নেই। 

বাগেরহাট শহরের রিকশা চালক রবিউল ইসলাম বলেন, দুদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার পরেও, বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। রাস্তাঘাট গুলো গর্ত হয়ে গেছে, পানিতে পাকা সড়কে গর্ত দেখা যায় না। তারপরও পেটের তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। 

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, পশুর নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

শেখ আবু তালেব/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *