টার্গেট করে গুলি চালানো সেই এপিবিএন সদস্য পুলিশ হেফাজতে

টার্গেট করে গুলি চালানো সেই এপিবিএন সদস্য পুলিশ হেফাজতে

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যকে শনাক্তের পর হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যকে শনাক্তের পর হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ওই সদস্যের নাম মো. সুজন হোসেন। এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্বের কনস্টেবল পদমর্যাদার ওই পুলিশ সদস্যকে গতকাল এপিবিএনের পক্ষ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর ডিবি পুলিশ তাকে শাহবাগ থানার দায়ের করা ৯নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপর পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় গুলি চালানোর চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রচারের পর অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এপিবিএন কনস্টেবল সুজন হেফাজতে রয়েছেন। সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনুমতির বিষয় রয়েছে, সেই বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ, এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত-উপ পুলিশ কমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার মানুষকে নিশানা করে গুলি করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে ক্লিয়ার একটি ফুটেজে এপিবিএন-১৩ সদস্য কনস্টেবল সুজন রয়েছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হেফাজতে নেওয়া এপিবিএন সদস্য সুজন শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। ওই মামলাটি তদন্ত করছেন থানার উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম খান পুলক।

তিনি বলেন, এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। গত ৫ আগস্টে গুলিতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুজন অভিযুক্ত। তাকে প্রথমে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ শাহবাগ থানার ৯ নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে থানায় হস্তান্তর করে। তাকে(কনস্টেবল সুজন) গ্রেপ্তার করতে হলে পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। আমরা সেই প্রক্রিয়াটি শুরু করেছি। পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজই আদালতে প্রেরণ করা হবে।

জেইউ/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *