মিয়ানমারে প্রবল বর্ষণ-বন্যায় নিহত ১৯, বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার

মিয়ানমারে প্রবল বর্ষণ-বন্যায় নিহত ১৯, বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যায় মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন এবং ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় হাজারো মানুষ। দেশটির ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানে হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যায় মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন এবং ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় হাজারো মানুষ। দেশটির ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানে হয়েছে।

জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) শুক্রবার রাজধানী নেইপিদোর কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নেইপিদো ও তার আশপাশের প্রায় ১৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যায় ডুবেছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ও। শহরটির প্রায় ৩৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মান্দালয়ে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এই শহরেও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারের অধিক মানুষ।

“বন্যা উপদ্রুত ৩০টি এলাকা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬০২ জন লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে,’ শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত ঘূর্নিঝড় ইয়াগি গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। ভিয়েতনামে আসার আগে ফিলিপাইনের লুজন প্রদেশ এবং চীনের কোটু দ্বীপেও তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়াগি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, চলতি ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ায় যত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ইয়াগি।

ইয়াগির আঘাতে এ পর্যন্ত ফিলিপাইনে ১৩ জন এবং ভিয়েতনামে ২৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *